জীবিত অবস্থায় কবরের অভিজ্ঞতার ভাইরাল ভিডিও বানাতে গিয়ে আটক ইউটিউবার

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে চলছে নিজেকে ভাইরাল করবার প্রতিযোগিতা। সবাইকে পেছনে ফেলে নিজের ভিডিও ভাইরাল করতে বেশিরভাগ কনটেন্ট ক্রিয়েটর চালাচ্ছেন নানা বিস্ময়কর সব ঘটনা। বিতর্কিত এসব ঘটনা ঘটাতে প্রশ্নবিদ্ধ অসামাজিক কার্যকলাপসহ থাকছে মৃত্যু ঝুকির ঘটনা পর্যন্ত।এবার বগুড়ার শাজাহানপুরে তেমনি একজন ইউটিউবার ভাইরাল ভিডিও বানাতে ঘটিয়েছেন অভিনব এক ঘটনা।

নিজ বাড়ীতে কবর খুঁড়ে ভেতরে ঢুকে ১০ঘণ্টা অবস্থান করেছেন মিজানুর রহমান রনি (২২) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী।তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। খবর পেয়ে সেই ইউটিউবার ও তার ভাইকে আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কবর থেকে রনিকে আটক করে পুলিশ।আটক রনি জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, জীবিত অবস্থায় কবরের অভিজ্ঞতা ইউটিউবে পোস্ট করার জন্য তিনি এই কাজটি করেছেন।রনি উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে চলতি বছর ডিপ্লোমা পাস করেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান রনি নিজ বাড়ীতে কবর খুঁড়ে রবিবার দিবাগত রাত ১১টায় সবার অজান্তে খাবার, পানি, লাইট, ক্যামেরা নিয়ে কবরে ঢোকেন। কবরে যাতে গরম না লাগে সেজন্য ওপর থেকে প্লাস্টিকের মোটা পাইপের সঙ্গে বৈদ্যুতিক ফ্যান লাগিয়ে নেয়।সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রনি ও তার বড় ভাই মিলনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রনি প্রায় এক বছর পূর্বে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া হেঁটে ভ্রমণ করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, রনি একজন ইউটিউবার। কবরের অভিজ্ঞতা ভিডিও করে তা ইউটিউবে পোস্ট করার করার জন্য তিনি এই কাজ করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সন্দেহজনক কিছু পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Check Also

সরকারের দেওয়া আশ্রায়ণের ঘর নিয়ে বিপাকে ভিক্ষুকপুত্র

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভায় সরকারের আশ্রায়ণ প্রকল্পের (খ শ্রেণি) ঘর পেয়েও সেখানে বসবাস করতে পারছেন না …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *