‘বৃহস্পতিবার রাত ইডেনের মেয়েদের জন্য আতঙ্কের, নেতারা গাড়ি পাঠায়,নেত্রীরা যত্ন করে পাঠায় আকর্ষণীয় ফিগার’

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

ইডেন নিয়ে যেন আলোচনা সমালোচনা থামছেই না। একের পর এক নতুন নতুন আর ভয়ংকর সব তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এবার ইডেনের মেয়েদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে একটি পোস্ট দিয়েছেন সাদিক মাহবুব ইসলাম। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
ইডেনের অসহায় মেয়েদের নেতাদের শয্যাসঙ্গী হইতে বাধ্য করার ঘটনা আজকে নতুন না। ২০১০ সালে ইডেন কলেজের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দের সময় তৎকালীন সভাপতি জেসমিন শামীমা নিঝুম ও সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ইয়াসমিন তানিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। অন্যতম অভিযোগ ছিল, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীদের বিভিন্ন নেতাদের কাছে যেতে বাধ্য করা।

বলা হয়- যে সব মেয়ে সুন্দরী, ফিগার আকর্ষণীয়, একটু অভাবী, ঢাকায় থাকার জায়গা নেই ও উচ্চাভিলাষী- ওসব মেয়েকে ওরা টার্গেট করে। এরপর তাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। সেসময় একাধিক ছাত্রী ও ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মী অভিযোগ করেন, শুধু নেতাদের বাসায় নয়, বিভিন্ন শিল্পপতি এবং আজিমপুর, হাজারীবাগ, নিউ মার্কেট ও ধানমন্ডি এলাকার ব্যবসায়ীদের বাসায়ও পাঠানো হয় ছাত্রীদের। এতে রাজি না হলে তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। সেসময় ইডেনের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ এবং জুনিয়র কর্মীদের কাছে বৃহস্পতিবার রাতটি থাকত আতঙ্কের। নেতাদের বাসায় যাওয়ার ভয়ে অনেক ছাত্রী ক্লাস থেকে আর হলে ফিরত না। কারণ নেত্রীরা খোঁজাখুঁজি করে তাদের আদর-যত্ন করে ঠিকানা ধরিয়ে দিত। অনেক ক্ষেত্রে কলেজের সামনে আবার পলাশী, নিউ মার্কেট ও নীলক্ষেত মোড়ে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার অপেক্ষা করত।

সেইসময় উলটা নিঝুম-তানিয়া গ্রুপের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী নেত্রী ইডেনের সহসভাপতি চম্পা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপি, শারমিন সুলতানা শর্মী ও সহসম্পাদক কানিজ ফাতেমাকে সংগঠন বহির্ভূত কাজ করার দায়ে বহিষ্কার করা হয়।
গল্পটা চেনা চেনা লাগতেছে না? ২০২২ সালেও সেইম ঘটনা হইতেছে না? ঢাকা শহরে মেয়েরা পড়াশোনা করতে আসে, হলে থাকার বিনিময়ে বিছানায় যাইতে বাধ্য হইতে আসেনা। ইটস রেইপ, ইটস সে’ক্সু’য়া’ল ‘স্লেভারি। স্টপ ইট।
প্রসঙ্গত, এ দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে আপাতত শান্ত হয়েছে ইডেন কলেজ। জানা গেছে ভিডিও ফুটেজ দেখে ৪ জন বিতর্কিত নেত্রীকে বহিস্কার করেছে সংগঠন। সামনে আসছে আরো বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ।

Check Also

‘পর্যবেক্ষক নিয়োগের চেয়ে বড় প্রশ্ন কেন পর্যবেক্ষক সরানো হয়েছিল’

ইসলামী ব্যাংক থেকে পর্যবেক্ষক সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘ভুল’ ছিল এবং এস আলম গ্রুপকে ‘রক্ষা করার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *