গোপন কক্ষে ঢুকে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছেন সিইসি, কিভাবে মিলল আঙুলের ছাপ প্রশ্নবিদ্ধ ইভিএম

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা: গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের ভেতরের পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে গেছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কশিমনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, শিগগিরই তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে ভোট শুরুর চার ঘণ্টার মধ্যে ১৪৫টি কেন্দ্রের ৪৪টিতে অনিয়মের ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করার পর সিইসির এমন বক্তব্য আসে।

এ আসনের সবগুলো কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে; ঢাকার নির্বাচন ভবনে স্থাপিত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে কেন্দ্রের পরিস্থিতি।গোপন কক্ষে অবৈধভাবে একাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনা সরাসরি দেখার পর বেলা ১২টা পর্যন্ত কয়েক দফায় মোট ৪৪ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।নিয়ন্ত্রণ কক্ষে উপস্থিত সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরিবিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেবো তা পরবর্তীতে দেখবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না তাহলে কমিশন নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে নিদ্ধান্ত নিচ্ছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেবো, তখন জানাবো।’নির্বাচন পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল তা আমরা বলতে পারবো না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে হচ্ছে এবং সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে না। কেন হচ্ছে এমন তা চটজলদি বলতে পারবো না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনও ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকেই দেখছি গেঞ্জি পড়ে, শাড়ি পড়ে যেখানে প্রতীক আছে দেখিয়ে যাচ্ছে। তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরই আমরা ডাকাত, দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ আইনের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সবাই যদি আইন না মানি নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’এদিকে অনিয়মের অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়া একযোগে বাকি চার প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।আওয়ামী লীগের মনোনীতপ্রার্থী হলেন মাহমুদ হাসান রিপন। আর ভোট বর্জন করা প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনী এলাকায় মোট এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে দুটি করে ২৯০ এবং ৯৫২টি ভোটকক্ষের সবকটির ভেতরে (গোপন বুথ ছাড়া) সিসিটিভি স্থাপন করা হয়।গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

Check Also

সরকারের দেওয়া আশ্রায়ণের ঘর নিয়ে বিপাকে ভিক্ষুকপুত্র

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভায় সরকারের আশ্রায়ণ প্রকল্পের (খ শ্রেণি) ঘর পেয়েও সেখানে বসবাস করতে পারছেন না …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *