IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
স্টাফ রিপোর্টার:দম্পতি সাগর-রুনি হ’ত্যা মামলার সন্দেহভাজন তানভীর রহমানের মামলা বাতিলের আবেদন এবং এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন শুনানিতে উঠেঠে আজ বুধবার (৪ মার্চ)। এ সংক্রান্ত মামলাটি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার এক নম্বর ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানি করেননি হাইকোর্ট।
এখাতিয়ার দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ প্রশ্ন তোলায় কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে মামলাটি। এর আগে সোমবার (২ মার্চ) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে আদালতে হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার জন্য র্যাবের পক্ষ থেকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।ওইদিন র্যা’বের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হ’ত্যা মামলার অগ্রগতি সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন হলফনামা আকারে হাইকোর্টের বেঞ্চে দাখিলের জন্য দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরের ১৪ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ৪ মার্চ বা তার আগে এ মামলার তদন্তের সবশেষ অবস্থা এবং অপরাধের সঙ্গে তানভীরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন হলফনামাসহ জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তারের পর জামিনে থাকা মো. তানভীর রহমান তার বিরুদ্ধে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। গেল বছরের ২০ অক্টোবর উচ্চ আদালতে ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে রুলসহ আদেশ দেন। রুলে তানভীর রহমানের ক্ষেত্রে ওই মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
পরে, তদন্ত কর্মকর্তা উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ওই আদেশ দেন আদালত।আদালতে আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ছিলেন আবেদনের পক্ষে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সরওয়ার হোসেন বাপ্পী। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খু’ন হন।
পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।
দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)। এ ঘটনায় ২০১২ সালের অক্টোবরের ১ তারিখে সন্দেহভাজন হিসেবে তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।