বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৩২ ঘণ্টায় ৫ সহস্রাধিক মোটরসাইকেল পারাপার
ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। এতে উত্তরবঙ্গগামী মানুষ মোটরসাইকেলযোগে জীবনের ঝুঁকি ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছেন। এতে বুধবার ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব এলাকায় আলাদা টোল বুথে মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
সরেজমিন বঙ্গবন্ধু সেতুতে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মোটরসাইকেল বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজার পাশেই স্থাপিত আলাদা বুথে অপেক্ষা করছে সেতু পার হওয়ার সময়। এ সময় সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন অপেক্ষারত মোটরসাইকেল আরোহীদের নির্ধারিত মোটরসাইকেলের টোলের টাকা হাতে রাখার জন্য মাইকিং করছেন।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, গত সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে তিন হাজার ৬৮৯টি মোটরসাইকেল পশ্চিম পাড়ে গেছে। এছাড়াও মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দুই হাজার ৫৯১টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।
এদিকে মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি দেখা গেছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি।
ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে উত্তরবঙ্গে যাওয়া ইদ্রিস মিয়া বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য শেষ রাতে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে রওনা হয়েছি। বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজার কাছে এসে প্রায় ২০ মিনিট যাবত দাঁড়িয়ে আছি। এছাড়া মহাসড়কে তেমন কোনো যানজট চোখে পড়েনি।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ভোররাত থেকেই সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারে দীর্ঘ সারি ছিল। মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে। সোমবার রাত ১২টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল সেতুর পূর্বপাড় থেকে পশ্চিম পাড়ের দিকে গেছে।
Great)