লাদেনকে গ্রেপ্তারের পর জানা গেল, ডায়নার লাশ ঘরে পড়ে ছিল ১১ দিন

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগে রূপান্তরকামী নারী মাকসুদুর রহমান ডায়না হ'ত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ঘটনায় শেরপুরের নালিতাবাড়ি থেকে শোয়েব আক্তার লাদেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার সঙ্গে ৪৮ বছর বয়সী ডায়নার শারীরিক সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ কমিশনার জিয়াউল আহসান তালুকদার বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সম্প্রতি বিয়ে করা লাদেন ‘মুক্তি চাইছিলেন’ ডায়নার কাছ থেকে। কিন্তু ডায়না তাকে ছাড়তে চাইছিলেন না।

“লাদেন বলেছে, গত ১৬ অগাস্ট শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে বাসার টেবিলে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় আঘাত করে সে। ডায়নার লাশ যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগের ওই বাসায় তার ঘরে এগারো দিন ধরে পড়ে ছিল।”

গত ২৭ অগাস্ট গোলাপবাগের ওই বাসা থেকে ডায়নার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একতলা ওই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন।
ডায়নার ছয় ভাই বোন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তিনি নিজেও আগে সেখানে থাকতেন। দুই বছর আগে দেশে ফিরে গোলাপবাগে নিজেদের ওই বাসায় তিনি থাকতে শুরু করেন।

তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে এক ফুপাতো ভাই গত শনিবার পুলিশে খবর দেন। এরপর ডায়নার বাসায় গিয়ে ভেতরে লাশ পায় পুলিশ।পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান তালুকদার বলেন, ডায়নাকে হ'ত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত সোমবার নালিতাবাড়ি থেকে লাদেনকে তারা গ্রেপ্তার করেন। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে লাদেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

“তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ডায়না সমাজের কারো সাথে মিশতেন না। লাদেন তার বাসায় কাজ করতেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে একটি দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
“কিছু দিন আগে লাদেন অন্য একজনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরও লাদেন ও ডায়নার মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক চলতে থাকে। কিন্তু লাদেনের ওই বিয়ে আর নতুন জীবন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলের না ডায়না। আর লাদেনও চাইছিলেন ডায়নার সাথে সম্পর্ক শেষ করে মুক্ত জীবনে ফিরতে।”

জিয়াউল আহসান বলেন, “আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ডায়না ছাড়তে চাইছিলেন না লাদেনকে। শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি লাদেনকে অর্থ দিতেন। লাদেন বলেছেন, অতিষ্ঠ হয়ে তিনি ১৬ অগাস্ট হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় আর হাঁটুতে আঘাত করেন। রক্তাক্ত ডায়না অচেতন হয়ে পড়লে লাদেন বাড়ির বন্ধ ফটক না খুলে টপকে পালিয়ে যান।”

পুলিশ বলছে, ডায়নার বাড়ির দেয়াল অনেকটা উঁচু হওয়ায় এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ না থাকায় তার মরদেহ ঘরের ভেতরেই পড়ে ছিল, আশপাশের কেউ বিষয়টি টের পায়নি।

Check Also

স্ত্রীকে খু'নের পর ফকির সেজে ঘোরাঘুরি

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ইটের আঘাতে নারীকে হ'ত্যার ঘটনায় তার স্বামী কহিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *