শাকিব খানের ছেলে রাহুল ওয়ার্কশপে কাজ করে, দাবি মা রাত্রির

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

১০-১১ বছর আগের কথা। সবেমাত্র যেন রানা থেকে শাকিব খান হয়ে উঠছেন। দ্বিতীয় সারি থেকে প্রথম সারির নায়ক বনে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছেন মাত্র। পেছনে তাকানোর একদমই যেন সময় নেই। ঠিক তখনই একটা খবর কিছুটা গতিরোধ করে শাকিবের সামনে চলার পথ। খবরটি হলোÑ মা হচ্ছেন চলচ্চিত্রের চতুর্থ সারির সহশিল্পী রাত্রি, আর বেকায়দায় পড়েছেন শাকিব খান। এ খবর ধামা-চাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন শাকিব খান। ছলে-বলে-কৌশলে রাত্রিকে সন্তান নষ্ট করার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন শাকিব।

ইচ্ছা না থাকলেও কেবলমাত্র ভালবাসার মানুষটির আদেশ কিংবা উপদেশকে নীরবে সায় দিয়ে যান রাত্রি। কিন্তু এরইমধ্যে ‘জনতার নিঃশ্বাস’ নামের একটি আন্ডারগ্রাউ- ম্যাগাজিন পত্রিকা রাত্রি এবং শাকিব খানের অন্তরঙ্গ কয়েকটি ছবি দিয়ে বড় একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এমনকি সেখানে বক্স করে রাত্রিরও একটা ‘মিনি ইন্টারভিউ’ প্রকাশ করে। আর এই খবরে রাত্রির ওপর ভীষণ ক্ষেপে যান শাকিব খান। একদিকে সন্তান নষ্ট করার জন্য কড়া গালাগাল করেন, অন্যদিকে লোক মারফত ঢাকা ছাড়ার আল্টিমেটাম দেন। যার ফলে ভয়ে কোণঠাসা হয়ে এফডিসিতেও যাতায়াত বন্ধ করে দেন রাত্রি।

এবার আসা যাক বর্তমানে, এত বছর পর ঠিক একইরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন শাকিব খান। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস যখন আব্রাহাম নামের একটা সন্তান কোলে নিয়ে স্ত্রী এবং সন্তানের স্বীকৃতির দাবি তুলছেন শাকিব খানের কাছে, ঠিক তখনই যেন সিনেমার মতোই আগমন ঘটে শাকিব খানের কথিত প্রথম সন্তান রাহুল খানের। বাংলামটর একটি ওয়ার্কশপে কাজ করে রাহুল। যদিও রাহুল বাবার পরিচয় না দিয়ে মায়ের পরিচয়ে বড় হতে চায়। আর রাহুলের সূত্র ধরে আবারও সন্ধান মেলে রাত্রির।

মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে ঘোর আপত্তি তার। একসময় উদাস হয়ে আকাশের দিকে অপলক তাকিয়ে থেকে বলেন, এসব কথা নতুন করে শুনে আর পত্রিকায় লিখেই লাভ কি? উফ! রানা, মানে শাকিব খান প্রথম যখন ঢাকায় আসে কেমন সহজ-সরল একটা সাধারণ মানুষ ছিল। কত অল্পতেই আমরা কত তুষ্ট ছিলাম। আমাদের ভালবাসায় কমতি ছিল না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কতকিছু বদলাতে থাকে। শাকিব যত বড় নায়ক হতে থাকে, রোজগার বাড়তে থাকে, ততই যেন সুখ আমার কপাল থেকে উঠে যেতে থাকে। যখন গর্ব করে আমার গর্ভে শাকিবের অনাগত সন্তানের খবরটি রানাকে দিলাম, তখন তার মুখটা কেমন কালো হয়ে গেল। আমার স্পষ্ট মনে আছে, সন্তান নষ্ট করার জন্য তার কেমন অস্থিরতা, ছলা-কলা। লাখ লাখ টাকা খরচ করেও আমার আর আমার সন্তানকে শেষ করতে শাকিব যেন মরিয়া হয়ে ওঠে। শেষমেশ অনাগত সন্তানকে বুকে ধারণ করেই শাকিব খানের কাছ থেকে আড়ালে চলে আসি।

আমি শাকিবকে এখনো আগের মতোই ভালবাসি। ওর সুখ দেখলে আমারও সুখ আসে। আমি আর কোনোদিন ভালবাসার দাবি নিয়ে তার সামনে যেতে চাই না। আমি সবসময় শাকিবের মঙ্গল কামনা করি। শাকিবই রাহুলের বাবা। রাহুলও জানে শাকিবই তার বাবা।

Check Also

ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে খুঁজলেও আমার চরিত্রে দাগ পাবেন না: অনন্ত জলিল

আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে অভিনেতা অনন্ত জলিলের সিনেমা ‘কিল হিম’। বুধবার (১২ এপ্রিল) এফডিসির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *