প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার পেলেন না ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, যেভাবে দেখছে ভারত

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের সাক্ষাৎ না হওয়ার অন্য কোনো কারণ খোঁজা নিরর্থক- সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকায় মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের। কূটনৈতিক শিবিরের অনেকে একে ভারত-বিমুখতার বার্তা হিসেবে দেখছেন। সংবাদমাধ্যমেও বিভিন্ন রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে। সরকারি সূত্রে অবশ্য এই রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সূত্রের বক্তব্য, ‘প্রটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন মনে করেন, হাইকমিশনারকে ডাকেন। কভিডের কারণে দেখাসাক্ষাৎ মুলতুবি রয়েছে। এর অন্য কারণ খোঁজা নিরর্থক।’

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক নৈকট্য এবং কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের দাবি নিয়ে কূটনৈতিক শিবিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এমন টানটান পরিস্থিতিতে সোমবার ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রীর নতুন একটি বার্তা আদান প্রদান হল। পণ্য ও যাত্রিবাহী ট্রেনে ব্যবহারের জন্য ১০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিন বাংলাদেশের হাতে তুলে দিল ভারত। ভিডিও পর্দায় উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের রেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ছিলেন অন্যান্য কর্তারাও।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে গতি আনতে গত কয়েক মাস ধরেই সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে সাউথ ব্লকের। গতকালের অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাত্পর্যপূর্ণভাবে বলেন, ‘সমৃদ্ধি এবং আর্থিক বৃদ্ধির অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ এবং ভারতকে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমি অবশ্যই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের অংশীদারি শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গঠন করতে প্রধান ভূমিকা নেবে। শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষে তাঁর দর্শনের প্রতি সেটাই হবে সেরা শ্রদ্ধার্ঘ্য।’

বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, প্রতিবেশির সঙ্গে সুসম্পর্কের মডেল হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মহামারির প্রভাবে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে স্থলবাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে সামপ্রতিক অতীতে দ্বিপক্ষীয় রেল-সহযোগিতা বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েক ধাপ। জুন মাসে দু’দেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত করেছে। মোট ১০৩টি ট্রেনকে কাজে লাগানো হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং কাঁচামাল আদানপ্রদানের জন্য।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সোমবার তাঁর বক্তৃতায় ভারতকে ১০টি লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি আমাদের আরও উত্পাদনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সড়ক, রেল ও নদীপথে প্রতিবেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে। শক্তিশালী রেল সংযোগ অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা নিয়ে থাকে।’

Check Also

‘পর্যবেক্ষক নিয়োগের চেয়ে বড় প্রশ্ন কেন পর্যবেক্ষক সরানো হয়েছিল’

ইসলামী ব্যাংক থেকে পর্যবেক্ষক সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘ভুল’ ছিল এবং এস আলম গ্রুপকে ‘রক্ষা করার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *