ফের মা হচ্ছেন ১৫ সন্তানের জননী, এখানেই থামছেন না

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রকৃতি বিরুদ্ধ বলে বিশ্বাস করেন আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনার এই দম্পতি। একে একে ১৫ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তারা। একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে না হতেই মাস তিনেকের মধ্যে গর্ভবতী হন প্যাটি হেরনানডেজ। সেই ধারাবাহিকতা মেনেই ফের তিনি গর্ভ ধারণ করেছেন। কনিষ্ঠটির বয়স মাস তিনেক।

৩৮ বছরের প্যাটির স্বামী কার্লোসের বয়স ৩৭। হেরনানডেজ দম্পতির বাড়িতে গেলে মনে হবে, এটা বুঝি কোনও ছোটদের স্কুল। হই-হুল্লোড় লেগেই রয়েছে। এ কাদছে তো ও হাসছে। এই মারামারি তো পরক্ষণেই দল বেঁধে চিৎকার। এর বায়না মেটাতে না মেটাতেই আর একজনের শুরু হয়ে গেল। কিন্তু এ সবে যেন কোনও ক্লান্তিই নেই। সন্তানের জন্ম দেওয়া আর লালন-পালন করাটা যেন হেরনানডেজ দম্পতির কাছে নেশার মতো।

প্যাটি প্রথম মা হন ২০০৮ সালে। এর পরে গত ১২ বছরে ১৫ জনের জন্ম দিয়ে ১৬তম সন্তানের অপেক্ষায়। পাঁচটা ঘর রয়েছে হেরনানডেজদের বাড়িতে। এই বাড়ির সব ছেলেমেয়েদের মধ্যে একটা মিল রয়েছে। বাড়ির কর্তার নাম যেহেতু কার্লোস, তাই সব ছেলেমেয়ের নাম রাখা হয়েছে ইংরেজি ‘সি’ বর্ণ দিয়ে। ক্রিস্টোফার, কার্লা, ক্যালভিন, কারোলিন ইত্যাদি।

প্যাটি জানিয়েছেন, সন্তান জন্ম দেওয়া থেকে লালন-পালন— সবটাই বেশ কষ্টের। কিন্তু সেই কষ্টের মধ্যেই আনন্দ পান তারা। বড় ছেলেমেয়েরাও ছোটদের সামলানোর কাজ করে। খরচও তো কম নয়! জানা গিয়েছে, সপ্তাহে শুধু ডায়াপার বাবদই খরচই হয় ৫০০ ডলারের আশপাশে।

অনেক সন্তানের জন্ম দেওয়া প্যাটি খবরের শিরোনামে এসেছিলেন ২০১৯ সালে। তখন তিনি ১৩ সন্তানের মা ছিলেন। এর পরে আরও দুই বাচ্চার মা হয়েছেন প্যাটি। ২০১৯ সালের মে মাসে জন্ম নেয় চার্লি। সেই চার্লিরও আবার বোন হয়েছে গত এপ্রিলে। করোনা পরিস্থিতিতেই হেরনানডেজ দম্পতির ১৫তম সন্তান ক্রিস্টালের জন্ম হয়। বিশ্বজোড়া মাহামারির মধ্যেই ফের গর্ভে সন্তান আসে প্যাটির। ১৫ সন্তানের মধ্যে দশটি কন্যা এবং পাঁচটি পুত্র। এর মধ্যে অবশ্য ছ’জন যমজ।

প্যাটি জানিয়েছেন, তিনি নিজেও কখনও কল্পনা করেননি যে, এত সন্তানের মা হবেন। অনেকেই নাকি তাকে প্রশ্ন করে, এরা সবাই সত্যিই কি তোমার সন্তান? তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম দিকের ছেলেমেয়েরা এখন বেশ বড়। তারাও সংসারের কাজে হাত লাগায়। সেই সঙ্গে ভাইবোনদের দেখাশোনাও করে। কাজও তো কম নয়! এত জনের রান্নাবান্না তো আছেই, সেই সঙ্গে বড় কাজ ঘর পরিষ্কার আর খেলনা গুছিয়ে রাখা। দিনরাত এলোমেলো করে দেয় ছোটগুলো। অনেককেই তো খাইয়েও দিতে হয়। প্যাটি জানিয়েছেন, বাড়ির সামনেই আসে স্কুল বাস। বড়রা স্কুলে চলে যাওয়ার পরে একটু ফুরসত পান তিনি।

‘পরিবার পরিকল্পনা’ কথাটাতেই বিশ্বাস নেই হেরনানডেজ দম্পতির। প্যাটির বক্তব্য, আমরা কখনও জন্মনিরোধক কিছু ব্যবহার করি না। কারণ, আমরা সবটাই ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি আমাদের যত সন্তান দিতে চান, আমরা তাতেই খুশি। সন্তান আমাদের কাছে আসলে ঈশ্বরের আশীর্বাদ।

সূত্র: ডেইলি মেইল।

Check Also

কারাবন্দি স্বামী-স্ত্রীর সময় কাটাতে বিশেষ সুবিধা, সময় ২ ঘণ্টা

এবার কারাগারের ভেতরেই স্বামীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন স্ত্রী। কারাবন্দিদের জন্য এমনই এক নতুন নিয়ম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *