খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) লাঞ্ছনার শিকার হয়ে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় ৯ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে,‘ ছাত্রশৃংখলা ও আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিক্ষককে লাঞ্ছনার প্রমান পাওয়া গেছে।’
কুয়েট এর জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি সিন্ডিকেটের জরুরী সভায় উত্থাপন করা হলে সিসিটিভির ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা প্রতীয়মান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃংখলা ও আচরণবিধির আলোকে অসদাচরণ এর আওতায় সিন্ডিকেট ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা হচ্ছে, সাদমান নাহিয়ান সেজান, সিএসই বিভাগ, মোঃ তাহামিদুল হক ইশরাক, সিই বিভাগ, মোঃ সাদমান সাকিব, এলই বিভাগ, আ. স. ম. রাগিব আহসান মুন্না, এলই বিভাগ,মাহমুদুল হাসান, সিই বিভাগ, মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, এমই বিভাগ, মোঃ রিয়াজ খান নিলয়, সিএসই বিভাগ, ফয়সাল আহমেদ রিফাত, এমই বিভাগ এবং মোঃ নাইমুর রহমান অন্তু, এমএসই বিভাগ।এদের মধ্যে সাদমান নাহিয়ান সেজান কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। অন্যান্যরাও বিভিন্ন পদধারী।
কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক কাজী সাজ্জাদ হোসেন সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তদন্তে দোষী প্রমান হলে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
এদিকে, অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমাদকে। সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. আলহাজ উদ্দীন, সদস্য প্রফেসর ড. খন্দকার মাহবুব হাসান, পুলিশ কমিশনার, কেএমপি, খুলনার মনোনিত একজন প্রতিনিধি (ন্যুনতম সহকারী কমিশনার পদমর্যাদা সম্পন্ন) এবং জেলা প্রশাসক, খুলনার মনোনিত একজন প্রতিনিধি (ন্যূনতম নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পদমর্যাদা সম্পন্ন)।
Leave a Reply