সম্প্রীতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বর মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এই ইস্যুতে মুখ খুললেন নুরুল ইসলাম নুর(সাবেক ভিপি) । তিনি বলেন,
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে সরকার কি এগুলো বলাচ্ছে নাকি উনার মানসিক সমস্যা হয়েছে ?
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে স্বামীর অংশ গ্রহণের অপরাধে ৭১ এর বন্দী তিন বারের সাবেক নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার সন্তান তারেক রহমান ও নাতনী জাইমা রহমানকে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ যে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তা ৭১ এর বীরাঙ্গনা তথা নারী সমাজের জন্য অত্যন্ত অসম্মানের। আশ্চর্যের বিষয়, এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন নারী সংগঠনের বিবৃতি বা প্রতিবাদ দেখিনি।
আরো দুঃখজনক হচ্ছে,সরকারের মন্ত্রীসভায় থেকে একজন প্রতিমন্ত্রী ৭১ এর বীরাঙ্গনা তথা নারীদের নিয়ে এরকম কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল বক্তব্য প্রদানের পরও তিনি স্বপদে বহাল আছে। রাজনীতিতে ভিন্নমত,প্রতিপক্ষ থাকবেই। তাই বলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে এরকম অসুস্থ মানসিকতার রাজনীতি? সরকারে কি ২/৪ জন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তিও নাই? তারা কি চায় মুরাদের মতো বিরোধী ও ভিন্ন মতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়েও এমন অশ্লীল, করুচিপূর্ণ বক্তব্য দিক?
অনেকে বলছেন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে প্রবাহিত করতে সরকার তাকে দিয়ে এসব আবোল-তাবোল বলাচ্ছে, আবার কেউ কেউ বলছেন তার মানসিক সমস্যা হতে পারে। কারণ,এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললে তিনি আগুনে ঝাপ দিবেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
ক্ষমতায় কেউ আজীবন থাকবে না। দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কোন দলের অবস্থা কি হবে সেটা সবাই উপলব্ধি করতে পারে। এই অসুস্থ রাজনীতি কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
উগ্রতা,প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা নয়, রাজনীতিতে শান্তি-সম্প্রীতি,সহনশীলতা প্রতিষ্ঠিত হোক।
Leave a Reply