সম্প্রতি ফেসবুকে একটা পেইজের লাইভে আয়োজিত টকশোতে অংশ নিয়ে তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানের ব্যাপারে অশালীন মন্তব্য করেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
এরপর শুরু হওয়া তুমুল সমালোচনার মধ্যেই ভাইরাল হয় নায়ক ইমন ও নায়িকা মাহির সাথে অশালীন কথোপকথনের রেকর্ড। পরদিন ভাইরাল হওয়া আরেকটা ভিডিওতে দেখা যায় ডা. মুরাদ চিৎকার করে অকথ্য ভাষায় কাউকে গালাগালি করে হেঁটে যাচ্ছেন।
সেদিন রাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন মুরাদকে তার প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে সরে আসতে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। সবাই ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রীকে।কিন্তু তাদের সাথে তাল মিলিয়েছেন জাইমাকে কটূক্তি করার সময় মুরাদের সাথে স্ক্রিনে দেখতে পাওয়া সেই উপস্থাপকও। খোদ তিনিও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। পাশাপাশি ডা. মুরাদকে বলেছেন দাম্ভিক ও অশ্লীল।
নাহিদ রেইন্স পিকচার নামে সেই পেইজের এডমিন লিখেন, আওয়ামী লীগ, দাম্ভিকতা ও অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেয় না। আগামীকালের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে মুরাদ হাসানের প্রতিমন্ত্রীত্ব প্রায় চলে যায় যায় অবস্থায় নাহিদ রেইন্সের এমন পোস্টে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তার এই পোস্টে অনেকে নেতিবাচক কমেন্ট করছেন।মাহফুজুল হক নামে এক ব্যক্তি লিখেন, এই প্রথম তোরে ধন্যবাদ দিলাম। তোর কারণে মুরাদ মন্ত্রীত্ব হারায়ছে।
অ্যাড. আসিফ চৌধুরী নামে একজন লিখেন, মূলত নাহিদ ছিল বিএনপি এবং জামাত এর পেইড এজেন্ট। নাহিদ ছলচাতুরি করে ডাক্তার মুরাদকে উস্কে দিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কিছু অসত্য কথা বার্তা বলিয়ে তার পেইজে প্রকাশ করে। ডাক্তার মুরাদ সরল মনে তার উস্কানিতে এবং ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়ে জাতির সামনে কিছু অসত্য বক্তব্য পেশ করে। আমরা নাহিদ রেইন্স এর বিচার চাই।
মনিরুজ্জামান রন্টি লিখেন, বাঁশ টা আপনিই নিজ হস্তে দিয়েছেন,এখন নিজে বাঁচার জন্যে পাম-পট্টি এবং তেল দিচ্ছেন, আপনার সকল ভিডিও কিন্তু আছে কতুটুকু উৎসাহ দাতা আপনি।
Leave a Reply