স্টাফ রিপোর্টার:কুমিল্লায় সরকারিভাবে আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে হ’য়রানির অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা কম এবং ধানে চিটা আছে বলে নানাভাবে হ’য়রানি করছেন কর্মকর্তারা। ধান নেওয়ার জন্য তারা কমিশনও দাবি করছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনিয়ম বা হ’য়রানির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কুমিল্লা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সূত্র মতে, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৩টিতে ১১ হাজার ২৩২ জন কৃষকের কাছ থেকে ১২ হাজার ৯৮৬ মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে।
নির্বাচিত কৃষকরা প্রতি কেজিতে ২৬ টাকা পাবে।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কৃষি কর্মকর্তা জানান, খাদ্য গুদামের কর্মকর্তারা কৃষকদের ধানের আর্দ্রতা, চিটাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। পরে কেজিতে ২৬ টাকার কমে অন্য কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছেন। লালমাই উপজেলার দক্ষিণ বাগমারা এলাকার কৃষক কাজী গোলাম জিলানির অভিযোগ, ৭৫ শতক জমিতে তিনি আমন ধানের চাষ করেছেন।
সরকারি তালিকায় নাম থাকার পর তাকে বলা হয়েছে এক টন ধান দিতে। তিনি ধান শুকিয়ে বাজারজাত করে উপজেলা খাদ্যগুদামে নিয়ে গেলে আর্দ্রতা কম বলে কর্মকর্তারা তার ধান ফিরিয়ে দিয়েছেন।একই উপজেলার মেম্বার ও কৃষক নুরু জানান, তার ধানে অতিরিক্ত চিটা বলে উপজেলা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু তিনি একই মাঠের ধান বাজারেও বিক্রি করছেন।জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক রবীন্দ্র লাল চাকমা বলেন, ধান দেরিতে আসা এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে একটু দেরিতে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সরকারের নির্ধারিত ২৬ টাকা দরে ধান সংগ্রহ চলছে। ধান সংগ্রহের নতুন নিয়মের কারণে কোনও রকম দুর্নীতি হবে না। কৃষক কোনও অনিয়মের অভিযোগ করলে গুদাম কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধান সংগ্রহে আমরা অতীতের দুর্নাম আমরা ঘোচাতে চাই।
Leave a Reply