IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি (বিসিএমসিএল) থেকে দেড় লাখ টনের কথা বলা হলেও প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টন কয়লা লোপাট হয়েছে বলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) গঠিত তদন্ত কমিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এ কয়লা গত ২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আত্মসাৎ করা হয়েছে।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি (বিসিএমসিএল) থেকে দেড় লাখ টনের কথা বলা হলেও প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টন কয়লা লোপাট হয়েছে বলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) গঠিত তদন্ত কমিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এ কয়লা গত ২০০৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আত্মসাৎ করা হয়েছে।
কয়লা আত্মসাতের জন্য বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) ২৩ কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দায়ী করা হয়েছে।
আর পেট্রোবাংলা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অভিযোগ অনুসন্ধান ও গবেষণা কমিশন’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অভিযোগ অনুসন্ধান ও গবেষণা কমিশনের সভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির চুরির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, এই কমিশনের তদন্তের সময় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিলো। আমরা আমাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে হস্তান্তর করব। তারপর সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা সরকারের ব্যাপার। আমাদের কাজটুকু আমরা করে দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি যৌথভাবে পাঠ করেন ছয় সদস্যর কমিটির সভাপতি লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম. শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক বদরুল ইমাম, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দাস ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎপাদনের শুরু থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই অবধি বিসিএমসিএল চুক্তিতে গ্রহণযোগ্য ৫ দশমিক ১ শতাংশ ময়েশ্চার (পানি) ধরে ১০১ দশমিক ৬৬ লাখ মেট্রিক টন কয়লার বিল পরিশোধ করা হয়। একই পরিমাণ কয়লা চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে প্রাপ্ত কলের পরিমাণ হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে কয়লার গড়ে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ ময়েশ্চার ছিল। এর অর্থ বিসিএমসিএল কর্তৃক গৃহীত কয়লার পরিমাণ ১০১ দশমিক ৬৬ লাখ টনের বেশি। কিন্তু ১০ দশমিক ৫ শতাংশ ময়েশ্চারে গৃহীত কয়লার পরিমাণের কোনো রেকর্ড নেই।
ক্যাবের ওই কমিশনের হিসাবে, ১০ দশমিক ৫ শতাংশ ময়েশ্চারে বিসিএমসিএল কর্তৃক প্রাপ্ত কয়লার পরিমাণ ১০৭ দশমিক ৩১ লাখ টন। যা বিসিএমসিএল কর্তৃক রেকর্ডভুক্ত কলার চেয়ে বেশি। এ প্রতিষ্ঠান কয়লার ব্যবহার বিক্রি করে ১০০ দশমিক ২২ লাখ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী ঘাটতি দেখায় ১ দশমিক ৪৪ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু কমিশনের হিসেবে একটি ৭ দশমিক শূন্য ৯ লাখ টন।
পেট্রোবাংলা প্রস্তাব অনুসারে, কয়লার হিসাবে সিস্টেম লস গড়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১ দশমিক ৬১ লাখ টন ধরে নিয়েও কয়লার ঘাটতি অথবা আত্মসাৎ ৫ দশমিক ৪৮ লাখ টন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, তদন্ত করে দেখা যায় মামলার বাদী বিসিএমসিএল নিজেই কলা চুরির অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তদের পক্ষে ন্যায় এবং মামলাটি প্রহসনে পরিণত করে। যা হওয়ার নয় ও সামঞ্জস্যহীন। যা কমিশনের বিবেচনায় অসঙ্গতিপূর্ণ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক বদরুল ইমাম, অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রমুখ।