প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে থাইল্যান্ডফেরত এক ব্যক্তি ভারতের এক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। তিনি ভারতের অ্যারনাকুলাম সরকারি মেডিক্যাল কলেজে কোয়ারেন্টাইন ছিলেন। গত সোমবার তিনি ওই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
২৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত সোমবার কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। পরে তার শরীরে করোনার কিছু লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাকে অ্যারনাকুলাম সরকারি মেডিক্যাল কলেজে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। কিন্তু সেই হাসপাতাল থেকে নার্সদের না বলেই তিনি পালিয়ে যান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেলা মেডিক্যাল অফিসারকে (ডিএমও) অবহিত করে। ডিএমও বলেছেন, যেহেতু তার শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ রয়েছে, তাই মানুষের সঙ্গে তার যোগাযোগ গণস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।
বিষয়টি কালেক্টর, কোচি পুলিশ কমিশনার এবং আলুভা পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছিল। পরে কর্তৃপক্ষ তাকে কোচির কাছে মুপথাদামে সনাক্ত করে। এরপর তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।
পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই ব্যক্তি তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। বাড়ির বাইরে থেকে তিনি বের হননি। তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ভরতের ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply