IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
শরীয়তপুরে জেলা বিএনপি’র ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থাকলেও মাঠে নেতা শূণ্য অবস্থায় আছে। এরমধ্যে আবার কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হওয়ায় মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিক কোন কার্যক্রম নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, জেলা কর্যালয়টিও বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ ৭ বছরের বেশি সময় ধরে। দলীয় কোন কর্মসূচি পালন করছে না সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে আবার সুভিদাবাদী কিছু নেতাকর্মীরা দূরদিনে পাশে না থেকে যোগ দিচ্ছে ক্ষমতাশীন দলে।
বিএনপির জেলা কমিটির শীর্ষ পদের কিছু নেতারা মাঠে না থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে ফেসবুকে। তবে নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নে মাঝে মধ্যে কিছু কর্মসূচি পলন করতে দেখা গেছে। বিএনপি’র নেতাদের দাবী, আওয়ামী লীগের লোকজনের ও পুলিশি হামলা মামলার ভয়ে তারা সবকিছু থেকে বিরত রয়েছে।
জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে মে মাসে ঢাকায় বসে জেলার ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতার স্থান হয়নি। কমিটিতে বেশির ভাগ পদ পদবী দখল করে ব্যবসা বানিজ্য করে ফায়দা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে। কমিটিতে নেতৃত্বদানকারী বেশিরভাগ নেতা এলাকায় আসেন না।
অনেকেই আবার ইউনিয়নের নেতা হওয়ার যোগ্য না হলেও তাদেরকে জেলা কমিটির পদ পদবী দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে। ফলে সমর্থকরা বিএনপি ছেড়ে ক্ষমতাশীন দলে ঢুকে পড়ছে। বিশেষ করে জেলা বিএনপির কার্যালয়টি দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর যাবত তালাবন্ধ অবস্থায় পরে আছে।
ইতোমধ্যে শরীয়তপুরে জেলা বিএনপি কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি গ্রুপে নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ ও সাধারন সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন কালু। অপর একটি গ্রুপে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য এড. জামাল শরীফ হিরু এবং আরো একটি গ্রুপে নেতৃত্বে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপর্সন তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী কারাবন্ধী মিয়া নুরুদ্দি অপু।
একটি গ্রুপের সমর্থকরা মাঝে মধ্যে ধানুকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে এক নেতার বাড়ির বাগানে বসে দুইএকটি কর্মসূচী পালন করেন। অপর গ্রুপটি কর্মসূচী পালন করে পালং উত্তর বাজার পৌর বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিন পাশে একটি বাড়ির আঙ্গিনায়। অপর গ্রুপ কর্মসুচি পালন করেন সাধারন সম্পাদককে বাড়ীতে। এ কারনে জেলার যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদল তিন ভাগে ভাগ হয়ে এদের সাথে যুক্ত হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, পদ পদবীর নেতারা এলাকায় না থাকা এবং অযোগ্য লোকদের নেতা বানানোর কারনে এবং দলীয় কার্যালয়টি বন্ধ থাকায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পাশাপাশি তৃনমূল নেতাকর্মীদেরও অভিযোগ, জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তেমন কোন কর্মসূচী পালন করা হয়না। যা হয় তা শুধু ফটোশেসনে কর্মসূচী, পকেট কমিটি। এদের মধ্যে শুধুমাত্র মাঝে মাঝে মাঠ গরম রাখে নড়িয়া উপজেলার যুবদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর। বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি তার ঘড়িষার ইউনিয়নে পালন করে থাকে। এছাড়া জেলায় অন্য কোন সংগঠনের কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেন, গত ২০১৮ সালের ৩০ডিসেম্বরের পর সভাপতি/সাধারন সম্পাদক দলের কোন কর্মসূচীতেই আসেনি তারা। নেতাকর্মীদের কোন খোজ খবর নেয়নি শীর্ষনেতারা। এ জন্য জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে নুতন কমিটি চাই। তবে দলের বিভক্তির ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নড়িয়া উপজেলার যুবদলের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর বলেন, নড়িয়াতে যুবদলের অনন্য নেতারা দলীয় কোন কর্মসূচি পালন করে বলে আমার জানা নেই। মাঝে মধ্যে আমি দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকি। আগামীতেও পালন করবো।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপর্সন তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া নুরুদ্দিন অপু কারাগারে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. জামাল শরীফ হিরু বলেন, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির কমিটি গনতান্ত্রিক ভাবে করা হয়নি। যারা বিভিন্ন কর্মসুচীসহ হরতাল অবরোধ ও রাজপথে থাকে তাদের কমিটিতে স্থান না হওয়ায় কর্মসূচি থেকে তারা বিরত থাকে।
জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।