IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
মন্ত্রীর আত্মীয় বলে চাপ প্রয়োগ করে রাতের বেলা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) করোনা রোগী শনাক্তকরণের ল্যাব খুলিয়ে এক মৃত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় চিকিৎসকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, মৃত ব্যক্তি একজন মন্ত্রীর আত্মীয়,তাই ওপরের চাপে মধ্য রাতে এই পরীক্ষা করতে তারা বাধ্য হয়েছেন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ইফতারের আগ মুহূর্তে চমেক হাসপাতালের অবজারভেশন সেলে চিকিৎসাধীন আবু মুসা (৬০) নামে এক রোগী মারা যান।
তার মৃত্যুর পরই কোভিড-১৯ শনাক্তের জন্য নমুনা পরীক্ষা করতে নির্দেশ আসে। সংশ্লিষ্টরা ওই নির্দেশ উপেক্ষা করতে না পারায় পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট পাঁচজন চিকিৎসক ও দুই কর্মীকে আবার বাসা থেকে মেডিকেল কলেজে ডাকা হয়।
একাধিক চিকিৎসক জানান, অথচ ওই দিন বিকেলের মধ্যে ৯১ নমুনার পরীক্ষা শেষ করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মীরা বাসায় চলে যান। সারা দিন কাজের পর তাঁদের আবার পরীক্ষাগারে ফিরতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম বলেন, মৃত ব্যক্তি (আবু মুসা) সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কারওর আত্মীয়। পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
আবুল কালাম আরও বলেন, মৃত্যুর আগে বুধবার বেলা তিনটা নাগাদ ওই ব্যক্তির নমুনা আমরা হাতে পাই। ততক্ষণে আমাদের ল্যাবে (পরীক্ষাগার) ৯১ নমুনা পরীক্ষা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমরা পরদিনের (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষার তালিকায় ওই নমুনা রেখে দিয়েছিলাম।
ওপরের চাপে বুধবার রাতেই তার নমুনা পরীক্ষা করতে হয়েছে।
মৃত আবু মুসা চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের ঈদগাঁ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। ওই এলাকায় করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে মৃত্যুর দুদিন আগে চট্টগ্রাম মেডিকেলের অবজারভেশন সেলে ভর্তি করা হয়। তিনি একজন মন্ত্রীর আত্মীয় বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।