পানিতে মরে গেলে খাদ্য দিয়ে কি করবো?

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

খুলনার কয়রা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। গৃহহীন মানুষ এখন খুঁজছে নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। ত্রাণ নয়, তারা চান টেকসই বেড়িবাঁধ।

বিভাগীয় কমিশনার জানান, খুলনাঞ্চলের বাঁধ নির্মাণে মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতের চিহ্ন দক্ষিণের জনপদ কয়রার দক্ষিণ বেদকাশীর প্রতিটি পরতে পরতে। উপকূলীয় এলাকায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সেটা সরেজমিনে দেখতে মঙ্গলবার (২৬ মে) সংসদ সদস্যের পাশাপাশি খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের একটি দল নদী পথে কয়রা ও শ্যামনগর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।

দুপুরে দক্ষিণ বেদকাশীর গোলখালি এলাকায় পৌঁছালে নদী পাড়ে জড়ো হয় কয়েকশো নারী-পুরুষ। এ সময় তারা দাবি জানান, ত্রাণের চেয়ে বেশি দরকার টেকসই বেড়িবাঁধ।

স্থানীয় একজন বলেন, পানিতে মরে গেলে খাদ্য দিয়ে কি করবো? তাই ত্রাণ না দিয়ে আগে আমাদের টেকসই বেড়িবাঁধ করে দেক।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জানান, খুলনাঞ্চলের বাঁধ নির্মাণে মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এখন লক্ষ্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ঘরে ফিরিয়ে আনা।

বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ঝড়-তুফান হলে পাউবোর যে উপস্থিতি দরকার, সেটা পাওয়া যায় না বলেই স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য অবশ্য অক্টোবর থেকে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার আশ্বাস দেন।

সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, আগামী অক্টোবর থেকে এই বাঁধের কাজ শুরু হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে খুলনাঞ্চলের উপকূলীয় উপজেলায় ৫৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Check Also

এরদোগানবিরোধী প্রচারণায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইকোনোমিস্ট

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ১০ দিন আগে প্রকাশিত ব্রিটিশ সাপ্তাহিক পত্রিকা ইকোনোমিস্ট কভার পেজসহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *