IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
নরসিংদীর মনোহরদীতে পুকুর থেকে মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে মোহাম্মদ আলী (২০) নামে এক কলেজছাত্রকে প্রথমে হাত-পা বেঁধে ব্যাপক মারধর এবং পরে গুম করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল রবিবার ওই ছাত্রের পিতা মাইন উদ্দিন বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নির্যাতিত মোহাম্মদ আলী মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের কাহেতেরগাঁও (চন্ডিতলা) গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে এবং পোড়াদিয়া কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন, আব্দুল জলিল, খলিল মিয়া, মমিন মিয়া ও আমিন মিয়া।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাতে মোহাম্মদ আলী এবং মো. আলমগীর হোসেন বরশি নিয়ে প্রতিবেশী সিরাজ উদ্দিনের পুকুরে মাছ ধরতে যায়। এ সময় সিরাজের বাড়ির লোকজন তাদের দেখে ফেলে। পরে সিরাজের পাঁচ ছেলে জোরপূর্বক তাদেরকে উঠিয়ে নিয়ে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে মোহাম্মদ আলীর বাবা-মা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে সিরাজের বাড়িতে যান। এ সময় সিরাজ উদ্দিনের ছেলেরা মোহাম্মদ আলীর কাছে চার লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তাদের শর্ত মানা সম্ভব নয় জানিয়ে তারা ফিরে আসেন। পরবর্তীতে ওই রাতেই তারা মোহাম্মদ আলীকে গুম করে ফেলেন। পরদিন সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে মাইন উদ্দিন তার ছেলেকে দেখতে না পেয়ে সিরাজ উদ্দিনের ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করলে সে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নির্যাতনের শিকার মোহাম্মদ আলীর পিতা মাইন উদ্দিন বলেন, মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে তারা আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে এবং চার লাখ টাকা না দেওয়ায় তাকে গুম করে রেখেছে।
অভিযুক্ত মমিন মিয়া মুঠোফোনে জানান, বরশি দিয়ে মাছ চুরি করার সময় মোহাম্মদ আলী এবং আলমগীর হোসেনকে হাতেনাতে ধরে বাড়িতে এনে বেঁধে রেখেছিলাম। পরদিন সকালে সে বাঁধন খুলে পালিয়ে গেছে। তবে তাদের কাছে কোনো টাকা পয়সা চাওয়া হয়নি।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, মাছ চুরির অপবাদে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ মূল ঘটনা উদ্ধারে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।