IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
বেশ কিছু দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন বৃদ্ধা। সঙ্গে ছিল করোনার অন্য উপসর্গও। সোমবার ভোরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার। রাস্তা থেকে ফিরে এলেও বৃদ্ধার দেহ বাড়িতে না ঢুকিয়ে ফ্ল্যাটের দরজার সামনেই রেখে দিলেন পরিজনরা। কয়েক ঘণ্টা পড়ে থাকার পরে স্থানীয় পৌরসভার গাড়ি এসে মৃতদেহটি নিয়ে যায়। সোমবার এমনই ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার লিলুয়া শহরে।
লিলুয়ার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার ছেলের দাবি, মায়ের করোনা হয়েছে, সেটা তো পরে জেনেছি। তার আগেই উনি মারা গিয়েছেন। আমাদের কিছু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মৃতদেহ ঘরে রাখা হয় না। তাই বাইরে রেখেছিলাম। কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন ৫৪ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা। কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যাও ছিল। গত রবিবার তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। তার ছেলে বলেন, এ দিন ভোরে মায়ের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তখন বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। রাস্তাতেই তিনি মারা যান।
কিন্তু মাঝরাস্তা থেকে ফিরে এসে সকাল সাতটা নাগাদ ফ্ল্যাটের সামনে দেহ ফেলে রাখলেন কেন এই প্রশ্নের জবাবে ওই যুবক বরেন,আমাদের কেউ বাধা দেয়নি বরং প্রতিবেশীরা সকলেই এগিয়ে এসেছিলেন সহযোগিতার জন্য। মায়ের কভিড পজিটিভ জানার পর পৌরসভার গাড়ি এসে মৃতদেহ নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পুরো এলাকা জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়। সেই সাথে মৃত বৃদ্ধার দুই ছেলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
এর আগে বালির বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটে এক মহিলা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তার ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এজন্য ওই মহিলার দেহ আবাসনে ঢোকাতে বাধা দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। অগত্যা প্রায় ছ’ঘণ্টা আবাসনের বাইরেই দেহটি পড়ে ছিল।