IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
তিনি মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহ আল বাকী ওরফে সাইফুল, কখনও ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম আবার কখনও ডিজিএফআই’র মেজর কামরুল ইসলাম!
প্রতিপক্ষকে শাসাতে বা ফাঁসাতে একেক সময় একেক সেনাকর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে রাজধানীর ডেমরার ডগারই নতুনপাড়া থেকে বুধবার সকালে এক বয়োবৃদ্ধ প্রতারককে গ্রে’প্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তার নাম প্রকৃত নাম শরীফুল ইসলাম শরীফ। পেশায় ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কেরানি হলেও এই ব্যক্তি নিজেকে রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হিসেবেও পরিচয় দিয়ে আসছেন।
এ সময় তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী পরিচয়ে প্রকৃত নামে নেওয়া একটি সম্মাননা, ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম নামে বানানো সিলসহ বিভিন্ন নামে তৈরি করা চারটি সিল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৫ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার দেওভোগ ৫নং মৃত কালু সরকারের ছেলে ওয়ার্ডের শরীফুল ইসলাম শরীফ ১৯৮১ সালে সেনাবাহিনীর সিপাহী পদে যোগ দেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে এসে একটি ব্যাংকে চাকুরি নেন তিনি।
এসএসসি পাস শরীফুল ২০০১ সালে ব্যাংকের চাকুরি থেকে অবসরও নেন। বর্তমানে রাজধানীর ডেমরার ডগারই নতুনপাড়া ভুইয়া মসজিদ এলাকায় বসবাস করেন।
পার্শ্ববর্তী এলাকার রাসেল ভুইয়ার সাথে তার বিরোধ ছিল। রাসেল ভুইয়াকে ফাঁসাতে গত ৩ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের সরকারি ফোনে নিজেকে সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে তিনি জানান সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে সিনহা গার্মেন্টসের মালিক তার স্ত্রী। রাসেল ভুইয়া নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর গার্মেন্টসে চাঁদা দাবি করে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
গণভবন থেকে ডিজিএফআইয়ের মেজর কামরুল পরিচয়েও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলামের বিষয়টি দেখার জন্য ডিবি (পশ্চিম) এর ওসিকে ফোন দেয়া হয়।
এই সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (ডিবি পশ্চিম) এস এম আলমগীর হােসেনের নেতৃত্বে ঘটনার সত্যতা যাচাইকালে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শরীফুল তার প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে এবং রাসেল ভুইয়াকে ফাঁসাতে এই কৌশল অবলম্বন করে বলে স্বীকার করে।
পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ তার বাসা থেকে ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় মো. সাইফুল ইসলাম (পিএসসি এন্ড ডিসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল, সেনা সদর, ঢাকা, বিএ- ৫০২২. (আর্মি), মো. সোহরাব পৌর চেয়ারম্যান, ১০ নং বাংলাবাজার ইউনিয়ন, মুন্সিগঞ্জ সদর, মুন্সিগঞ্জ- ১৫০০, মো. সোহরাব পীর, ১০ নং বাংলাবাজার ইউনিয়ন, মুন্সিগঞ্জ সদর, মুন্সিগঞ্জ-১৫০০, শরীফুল ইসলাম (শরীফ), সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুন্সীগঞ্জ লেখা ৪টি প্লাষ্টিকের ভূয়া সিল জব্দ করে। এছাড়া একটি ক্রেষ্টে এ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শরীফ লেখা থাকলেও আইনজীবি পরিচয়ের বার সনদ দেখাতে পারেননি শরীফুল।
এসব কুকর্ম ও জালিয়াতির বিষয়ে প্রতারক শরীফুল ইসলাম শরীফের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়