জুয়াড়ির সঙ্গে প্রেম মাস্টার্স পাস তরুণীর সর্বনাশ

ফেসবুকে অনলাইন জুয়াড়ির প্রেমে পড়ে সর্বনাশ হলো মাস্টার্স পাস এক তরুণীর। বিয়ের প্রলোভনে ৩ বছর ধরে ধ’র্ষণের শিকার এই তরুণী নিরুপায় হয়ে দ্বারস্থ হলেন পুলিশের। পুলিশ গোলাম কিবরিয়া রিগান নামে ওই জুয়াড়িকে গ্রে’প্তার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, মাস্টার্স পাস করা মেয়েটির সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল গোলাম কিবরিয়া রিগান। ২০১৭ সাল থেকে প্রেম ও বিয়ের দোহাই দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হোটেল ও রিসোর্টে নিয়ে মেয়েটিকে ধ’র্ষণ করেছে ওই যুবক। ওসি বলেন, মেয়েটির বাবা নেই।

উচ্চশিক্ষিতা ভিকটিম ওই তরুণী পারিবারিকভাবে যেমন অসহায় তেমন সরল প্রকৃতির। সে বুঝতে পারেনি ফেসবুকের পরিচয়ই তার জীবনের কালো অধ্যায় হবে। মেয়েটি বারবার বিয়ের কথা বললেও বিয়েতে কোনোভাবেই করতে রাজি ছিল না প্রতারক রিগান। পরে বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে ধ’র্ষণ মা’মলা দায়ের করেছে।ওসি বলেন, ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে গোলাম কিবরিয়া রিগানকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। রিগান একজন প্রফেশনাল অনলাইনভিত্তিক জুয়াড়ি। কিছুদিন আগে র‌্যাবের হাতে গ্রে’প্তার হয়ে সে জেলে যায়। পরে জামিনে বেরিয়ে আসে।৩৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া রিগান চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তাফার ছেলে। বর্তমানে নগরীর বাকলিয়া থানার ইছহাকেরপুল আলিফ টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ভাড়া বাসায় থাকে সে।মা’মলার এজাহারের তথ্যমতে, ফেসবুকে ২০১৭ সলের মে মাসের শেষের দিকে রিগানের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কটির কিছুদিন যেতেই বিয়ের প্রলোভন দেয় রিগান। এক সময় প্রেমের দোহাই দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে।

এরপর বেড়ানোর কথা বলে নগরীর বিভিন্ন রিসোর্টসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধ’র্ষণ করতো গোলাম কিবরিয়া রিগান। এভাবেই প্রায় তিন বছর ধ’র্ষণ করেছে সে। সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে গিয়ে প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়েও নানা সমস্যায় ভুগছে। স্বাভাবিক সম্পর্কে থাকতে একাধিবার বিয়ের প্রস্তাব দেয় ওই তরুণী। ধর্ষক রিগান সেটি নানা উপায়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রতারণা করে ধ’র্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশের দারস্থ হয়েছেন ভিকটিম ওই তরুণী। থানায় বিস্তারিত জানানোর পর বৃহস্পতিবার রাতে ধ’র্ষণ মা’মলা নেয়া হয় বলে জানান বাকলিয়া থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার।তিনি জানান, মা’মলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে নগরীর বাকলিয়া থানার ইছহাকেরপুল আলিফ টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ভাড়া বাসায় থেকে রিগানকে গ্রে’প্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রিগান ধ’র্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।