IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
নাসিরনগরে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধ’র্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীর বাবা নাসিরনগর থানায় অভিযুক্ত বখাটে আইকুলসহ (২০) তিনজনের নাম উল্লেখ করে মা’মলাটি করেন। আইকুল উপজেলার কচুয়া গ্রামের মো. নুরু মিয়ার ছেলে। এদিকে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ধ’র্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া ও গ্রামছাড়া করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মা’মলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে আইকুল ওই কিশোরীকে রাস্তাঘাটে বিরক্ত করত। একপর্যায়ে বিষয়টি সে তার মা-বাবাকে জানায়। পরে ওই কিশোরীর বাবা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে জানালে সালিশ বৈঠকে আইকুলকে সতর্ক করা হয়। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে খালার বাড়িতে যাওয়ার পথে ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে মুখ চেপে ধরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় আইকুল।
সেখানে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধ’র্ষণ করে সে। এ সময় ওই কিশোরীর চিৎকারে পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি এগিয়ে এলে আইকুল পালিয়ে যায়। মা’মলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এ ঘটনার পর ধর্ষকের বাবা নুরু মিয়াসহ গ্রামের কয়েকজন বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার প্রস্তাব দেয়। পরে ওই কিশোরীর বাবাকে হুমকি দিয়ে তিনশ’ টাকার খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। কিশোরীর বাবাকে গ্রামছাড়া করার হুমকিও দেয় ধর্ষকের পক্ষের লোকজন। সম্পর্কিত খবর
এ ব্যাপারে নুরু মিয়ার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন নামাজে যাচ্ছি, পরে ফোন দিয়েন।’ পরে ফোন দিলে অভিযুক্তের মা রিসিভ করে বলেন, তার স্বামী ঘরে নেই। ধ’র্ষণের ব্যাপারে বলেন, তার ছেলে এসব কিছু করেনি। সব মিথ্যা কথা।
এ ব্যাপারে সালিশে থাকা রাশিদ মিয়া বলেন, সালিশের মধ্যস্থতাকারী সামছু মিয়ার বাড়িতে গত বুধবার ধ’র্ষণের ঘটনাটি নিষ্পত্তির জন্য বসা হয়। তিনিসহ এলাকার আটজন বিচারকের সামনে ধর্ষক আইকুল তার অ’পরাধ স্বীকার করে নেয়। তখন অভিযুক্তের বাবা তাদের বলেন, বিচারকরা যে সিদ্ধান্ত দেবেন মেনে নেবেন। তবে তাকে একদিন সময় দিতে হবে। পরদিন তিনি সিদ্ধান্ত মানতে অপারগতা প্রকাশ করলে সালিশ ভেস্তে যায়।
নাসিরনগর থানার ওসি আরিসুল হক জানান, চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।