IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
ড্রেনে ভাসছে টাকা! এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আরো লোক সমাগম বেড়ে যায়। যারা ড্রেনে টাকার কথা শুনে দাঁড়িয়েছিলেন, পরে তারাও নেমে যান সেই টাকা কুড়াতে। রাজশাহী রেলওয়ে অফিসার্স মেস ভবনের সামনে শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সারাদিনে অন্তত অর্ধশতাধিক স্থানীয় মানুষকে নর্দমার নোংরা পানিতে নেমে টাকা হাতরে তুলে আনতে দেখা যায়। যত মানুষ টাকা তুলতে নর্দমায় নেমেছেন তার চেয়েও বেশি মানুষ ভিড় জমিয়ে এই ঘটনা দেখেছেন। ড্রেনে এক হাজার, ৫০০, ১০০, ২০, ১০ এবং ৫ টাকার নোট পাওয়া গেছে। টাকা ভাসতে দেখে প্রথমে একজন এবং পরে অনেক মানুষ নেমে পড়েন ড্রেনে।
টুলু নামের এক ভাংড়ি বিক্রেতা তার কুড়ানো টাকাগুলো রেখেছিলেন পকেটেই। তিনি জানান, টাকাগুলো অফিসার্স মেসের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছিল। ড্রেনে ভাসতে দেখে তিনি নেমে পড়েন।
আসলাম নামের আরেকজন জানান, তিনি এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন।
রঙমিস্ত্রি দিপু ড্রেনে এক হাজার টাকার একটি নোটসহ বেশ কিছু টাকা ধরেছেন। রিকশাচালক আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট।
জানা গেছে, টাকাগুলো রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের। সেগুলো পুরনো কাগজপত্রের ভেতর ছিল। নগরীর শিরোইল এলাকায় সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয়। সেখান থেকেই কাগজের সঙ্গে খেয়াল না করে টাকাগুলো ফেলে দেয়া হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, এগুলো দুর্নীতি করে জমানো টাকা। ভয়ে ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়েছে।
এ খবর শুনে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ড্রেনের কাছে ছুটে যান। পরে তারা টাকার রহস্য খুঁজে পান
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন, ওই ড্রেন দিয়ে কোনো অফিসের পুরোনো কাগজপত্র ভেসে যাচ্ছে। তার সঙ্গে কিছু টাকা ভেসে যাবার খবর পেয়েছি। তবে সেটা খুব বেশি নয়।
রাজশাহী জেলা সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক জানান, তাদের অফিসের পুরোনো কিছু কাগজপত্র ড্রেনে ফেলা হয়েছিল। সেসব কাগজপত্রের ভেতর কিছু টাকাও ছিল হয়তো।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই