নির্বাচন হবে, ফল হয়তো কোনোদিন জানা যাবে না: ট্রাম্প

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

নিয়ম মেনে আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজিত হলেও সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন কিনা; তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে। সেই সংশয়কে আরও বাড়িয়ে দিয়ে ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, নির্বাচন হলেও ফল হয়তো জানা যাবে না কখনও।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক কর্মদিবসে নির্বাচন হয় বলে অনেক মানুষ সশরীরে ভোট দিতে পারেন না৷ কাজের সূত্রে দূরে থাকার কারণেও কারও কারও ভোট দিতে সমস্যা হয়৷ এমন সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সেদেশে ডাকযোগে ব্যালট পাঠানোর বিধান রয়েছে৷ এ বছর করোনা সংকটের কারণে অসংখ্য ভোটার সেই সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে৷সম্প্রতি অ্যাক্সিওস/সার্ভে মানকির চালানো এক জরিপে দেখা গেছে,  ৫০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট মেল ইন পদ্ধতিতে ভোট দিতে চান।

তবে তিন চতুর্থাংশ রিপাবলিকান সশরীরে ভোট দেওয়ার পক্ষে। সে কারণেই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে মেল ইন ভোটের দাবি জানানো হলেও ট্রাম্প শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করছেন। এমনকি ভোট-জালিয়াতি হতে পারে বলে ডেমোক্র্যাটদের দিকে আঙুলও তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু তার কোনও আপত্তিই ধোপে টেকেনি। এমন পরিস্থিতিতে কাউন্সিল অব ন্যাশনাল পলিসির একটি সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে শনিবার ট্রাম্প ভোটের ফল নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার মনে হয় না, ২ সপ্তাহের মধ্যেও ভোটের ফল জানা যাবে।

এমনকী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ভোটের ফল জানা যাবে বলে আমার মনে হয় না।’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘বিধান অনুযায়ী এই বছরের শেষ নাগাদ যদি ভোটের ফল না জানা যায় তাহলে ন্যান্সি পোলসি প্রেসিডেন্ট হবেন।’। ডাকবিভাগের প্রধান ডিজয় ট্রাম্পেরই সমর্থনপুষ্ট। রিপাবলিকান শিবিরের একজন অর্থদাতাও তিনি। ডিজয়ের নেতৃত্বে ডাকবিভাগে নতুন যে নীতিমালা প্রণয়নের কথা ভাবা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল সব মেইল বক্স সরিয়ে নেওয়া, ডেলিভারি দেওয়ার সময় কমিয়ে আনা এবং সর্টিং মেশিন বন্ধ করে দেওয়া।

ডেমোক্র্যাটরা আশঙ্কা জানিয়েছিল, এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রতিনিধি পরিষদে জবানবন্দি দিতে ডিজয়কে তলব করেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ডাক বিভাগের পরিবর্তনগুলো থামিয়ে দিতে ভোটাভুটিরও আয়োজন করা হয়। আর তার আগেই ডিজয় জানান, নতুন নীতিমালা প্রণয়নের সে সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মহামারী আবহে এবার অন্তত ৫ কোটি মার্কিন নাগরিক ডাক-যোগে ব্যালট পেপারে ভোট দেবেন।

ট্রাম্পের দাবি, এই ভোট গণনাতেই দীর্ঘ সময় কেটে যাবে। পাশাপাশি, এই ভোটে কারচুপি এবং ফল ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি মা’মলাও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি দীর্ঘায়িত করবে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।তবে শনিবার লুইস ডে জয় আশ্বস্ত করেন, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডাকযোগে ব্যালট পেপার পরিবহণে ইউএস পোস্টাল সার্ভিস (ইউএসপিএস)‘সবদিক দিয়ে সক্ষম এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ ।

তিনি বলেন, ভোটের বিষয়টি সবসময় অগ্রাধিকার পাবে এবং ডাকযোগে পাঠানো সব ভোট যথা সময়ে গণনার জন্য পৌঁছে দেওয়া হবে। ব্যয় সংকোচনে নেওয়া নতুন নীতিগুলো আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘ভোটিং’ কার্যক্রমে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেও জোর দাবি এ কর্মকর্তার।প্রসঙ্গত, করোনা-ত্রাসের আবহে একটা সময়ে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের থেকে পিছিয়ে থাকার কারণেই চাপে পড়ে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট। তার সেই প্রস্তাব আমলে নেয়নি বিরোধীশিবির। ভোট হচ্ছে নির্ধারিত ৩ নভেম্বরেই। 

Check Also

এরদোগানবিরোধী প্রচারণায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইকোনোমিস্ট

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ১০ দিন আগে প্রকাশিত ব্রিটিশ সাপ্তাহিক পত্রিকা ইকোনোমিস্ট কভার পেজসহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *