IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার পথে হঠাৎ বিকট চিৎকার। পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধ'র্ষণ মামলার আসামি মজনু। মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে মজনুর এমন আচরণকে লোক দেখানো বলছেন রাষ্টপক্ষের আইনজীবী। হাত-পা ছুঁড়ে চিৎকার, মাটিতে গড়াগড়ি আর বিকট স্বরে কান্না। সেইসঙ্গে কারাগারে না নিয়ে যাওয়ার আবদার। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধ'র্ষণ মামলার আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে এমন ঘটনা ঘটায় মজনু। আসামি মজনুর এমন আচরণে বেকায়দায় পড়তে হয় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের।
কিন্তু হঠাৎ কেন এমন আচরণ ধ'র্ষণ মামলার এই আসামির? রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে জানালেন, সাংবাদিকদের দেখে সহানুভুতির পাওয়ার আশাতেই এমন মিথ্যা অভিনয়। তিনি বলেন, ‘আসামিরা লোক দেখানোর জন্য পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে নেওয়ার জন্য এমন করে। কান্নাকাটি এটা তার অভিনয়, ন্যাকামি।’ মজনুর এ আচরণ কোনোভাবেই মামলার বিচারকে প্রভাবিত করবে না বলেও মনে করেন তিনি। এদিন মামলার বাদী ও ধর্ষনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন। ২১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় পরবতী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্ষ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় আদালতে মোট ২১ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা বাসস্টপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর এক শিক্ষার্থীকে মুখ চেপে পাশের একটি স্থানে নিয়ে ধ'র্ষণ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাথীরা রাজপথে নামে। এরপরই গোয়েন্দা পুলিশ মজনুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার মজনু গত ১৬ জানুয়ারি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মজনুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগত্র দাখিল করেন। ২০টি আলামত জমা দেওয়া হয় অভিযোগপত্রের সঙ্গে। আর গত ২৬ আগস্ট এই মামলার আসামি মজনুর বিচার শুরু হয়।