প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর বাড়ি ছাড়লেন, স্বামী এবং প্রেমিক দুজনকেই হারালেন!

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

ময়মনসিং প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের সদরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তিনদিন যাবত অবস্থান করেছেন প্রেমিকা (১৮)। অবস্থানের পর থেকে পালিয়েছে প্রেমিক আরিফ মিয়া (২১)।
প্রেমিক আরিফ মিয়া সদর উপজেলার সুহিলা বুধবাড়িয়া গ্রামের রুহুল মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সুহিলা বুধবাড়িয়া
সূত্র জানায়, গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে সদর উপজেলার সুহিলা বুধবাড়িয়া গ্রামের রুহুল মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়াকে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকা অবস্থান করছেন।

বিয়ের দাবিতে অবস্থান করা তরুণী বলেন, আরিফের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের এক পর্যায়ে আরিফ আমাকে বিয়ে করবে বলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমার অসম্মতিতে পরিবার আমাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। কিন্তু, আরিফ আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিত। আমাকে বিয়ে করবে আশ্বাস দিলে আমি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসি। পরে আমাকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে।

প্রেমিকা বলেন, এমন অবস্থায় আমি বিয়ের দাবিতে আরিফের বাড়িতে অবস্থান করছি। আমি আসার পর থেকেই আরিফ বাড়ি থেকে পালিয়েছে। এদিকে আমার স্বামীও আমাকে নেবে না। আরিফ আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহ’ত্যা ছাড়া আমার উপায় নেই।
তরুণীর মা বলেন, মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু, আরিফ সেখানে মেয়েকে থাকতে দেয়নি। বিয়ে করবে বলে মেয়েকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসছে। গত রোববার আমার মেয়ে আরিফের বাড়িতে আসছে।

তিনি বলেন, তখন থেকে আরিফ পলাতক। বিষয়টি পুলিশকে জানালে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আরিফের বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিলে পুলিশ চলে আসে। কিন্ত এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ আমাদের কিছু বলেনি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মেয়ের মা লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলে মেয়ের মা রাজি হয়। পরে আমি চলে আসি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো মীমাংসা হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Check Also

এরদোগানবিরোধী প্রচারণায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইকোনোমিস্ট

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ১০ দিন আগে প্রকাশিত ব্রিটিশ সাপ্তাহিক পত্রিকা ইকোনোমিস্ট কভার পেজসহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *