প্রকৌশলীর ছেলেকে ভর্তি না করানোয় মাদরাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরে একটি ক্বওমী মাদরাসায় ছেলেকে ভর্তি করতে না পারায় ওই মাদরাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেন কোটচাঁদপুর বিদ্যুৎ অফিসের (ওজোপাডিকো) আবাসিক প্রকৌশলী মনোয়ার জাহিদ। ঘটনাটি ঘটেছে পৌর শহরের বড়বামনদাহ এলাকায় কোটচাঁদপুর ক্বওমী বালক-বালিকা মাদরাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং এ। এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম বিপাকে পড়ে মাদরাসার আবাসিক-অনাবাসিক তিনশ শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মধ্যে। প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ থাকার পরও ব্যক্তি আক্রশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি দীনি প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশলী কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া কিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেন তা জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন পাটোয়ারী জানান, গত মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী মনোয়ার জাহিদের ছেলেকে মাদরাসায় ভর্তির জন্য পাঠান। মাদ্রাসার মোহতামিম (প্রিন্সিপল) ছুটিতে থাকায় দায়িত্বরত শিক্ষক মুফতি মাসুম বিল্লাহ তাদেরকে জানান, বছরের শেষের দিকে হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ আছে।

ওই শিক্ষার্থীকে মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য জানুয়ারিতে যোগাযোগ করতে বলেন। এমনকি বেশি জরুরী হলে, মাদরাসার মোহতামিম (প্রিন্সিপল) ছুটি থেকে ফিরলে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভর্তিচ্ছুক শিশুটির পিতা কোটচাঁদপুর বিদ্যুৎ অফিসের (ওজোপাডিকো) আবাসিক প্রকৌশলী মনোয়ার জাহিদ ক্ষিপ্ত হন। এবং মূহুর্তেই ওই মাদরাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বলেন। দুপরে মাদরাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তিনশ আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থী ওযু-গোসলসহ খাবার পানির সংকটে পড়ে। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে দ্রুত বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু আবাসিক প্রকৌশলী মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তিতে অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এক পর্যায়ে তিনি আমাদেরকে জানান, অনুমতি ছাড়া অতিরিক্ত লোডে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার কারনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কোন প্রকার আগাম নোটিশ ছাড়া একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে তা, জানতে চাইলে তিনি আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। অনেক আকুতি মিনতীর এক পর্যায়ে তিনি প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পর মাদ্রাসার বিদ্যুৎ সংযোগ দেন। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে প্রকৌশলীর ব্যক্তি ও কর্মক্ষেত্রের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে।

ঘটনার বিষয়ে প্রকৌশলী মনোয়ার জাহিদ জানান, তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ সত্য না। ওই প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ এর লোড ক্যাপাসিটি ২ কিলোওয়াট। কিন্তু ব্যবহার হচ্ছে ৪ কিলো ওয়াট। এই কারনেই মাদরাসার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পূর্বে কোন প্রকার লিখিত বা মৌখিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন প্রকার সদুত্তর দিতে পারেননি।

Check Also

বিএনপি বাজারের বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার পাশে বিএনপি বাজারের বস্তিতে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *