IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্যঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিবাহিত, খু'ন ও মাদক মামলার আসামি, কাউন্সিলর প্রার্থী, স্কুলছাত্র, প্রবাসী ও বিতর্কিতদের নিয়ে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত নেতারা। এ কমিটি নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কমিটি নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনিয়ম করে ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি করার অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের কয়েক নেতা। পূর্ণাঙ্গ কমিটির নানা অনিয়ম তুলে ধরে সোমবার ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি অমিয় সরকার।
অমিয় অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন পর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয় ৯ নভেম্বর। এ কমিটিতে সভাপতিসহ ১৪ জন বিবাহিত, ৫ জন স্কুলছাত্র, ২ জন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, ২ জন প্রবাসী, একজন খু'নের ও একজন মাদক মামলার আসামি রয়েছেন। এছাড়া গত বছরের ১৯ জানুয়ারি কেন্দ্র থেকে ঘোষিত আংশিক কমিটিতে থাকা ২ সহসভাপতি ও ২ সম্পাদককে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাখা হয়নি।
অভিযোগের প্রমাণ তুলে ধরে অমিয় সরকার বলেন, বর্তমান সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান, সহসভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাব্বি, আশিকুল ইসলাম আশিক, সাগর মোল্লা, মেহেদী হাসান রানা, শাহীন আহমেদ সোহান, সীমান্ত অধিকারী পার্থ, বিশাল চৌধুরী, ইভান রহমান, নাসির হোসেন, মীর মোহাম্মদ শান্ত, শেখ তানিম আফনান ও মো. মনির হোসেন বিবাহিত। কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে স্কুলছাত্র মীর বাসিত আহমেদ (সাআদ), ফাহাদ বিন নিবির, শেখ ফাহিম সীমান্ত, রাশেদুল হক রাহুল ও মো. শাওন চৌধুরী শাকিবকে। দুবাই প্রবাসী মো. সাব্বির হোসেনকে উপ ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও সৌদি প্রবাসী ইমন দেওয়ানকে সহসম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, কমিটির সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে শহর আওয়ামী লীগের রফিকুজ্জামান রাহাত ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী সাফিউল আশরাফীকে (মধু)। মধু গত পৌর নির্বাচনে ১৮নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচন করেন। এ ছাড়া কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে মাদক মামলার আসামি খালিদ সাইফুল্লাহ ও ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ হ'ত্যা মামলার অন্যতম আসামি সজীব সরকারকে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কেন্দ্রঘোষিত আংশিক কমিটির ১নং সহসভাপতি সাদিকুর রহমান, ৮নং সহসভাপতি অমিয় সরকার, ২নং সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব শেখ ও ৪নং সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুজ্জামান আশিককে বাদ দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিকভাবে। কমিটির সভাপতি পদ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নজনের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে প্রকৃত নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা সাদিকুর রহমান ও আশিকুজ্জামান আশিক।
২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। দীর্ঘ ২২ মাস পর ৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। এতে ৭৭ জনকে সহসভাপতির পদ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, যারা কমিটি নিয়ে নানা অভিযোগ করছেন এর কোনো সত্যতা নেই। কমিটি থেকে বাদ পড়ার কারণেই তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এসব অভিযোগ করছেন। কমিটিতে যদি বিতর্কিত লোকজন থাকে তাহলে প্রমাণ পেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।