IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিখোঁজের চারদিন পর গত বৃহস্পতিবার শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের শিবরামপুর ঘাটের পাশে করতোয়া নদী থেকে ওই যুবকের হাত-পা বাঁধা ভাসমান লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গতকাল সোমবার শাহজাদপুর আমলী আদালতে শরীফুলের স্ত্রী ফারজানা জবানবন্দিতে স্বামীকে হ'ত্যার করা স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) হাসিবুল ইসলাম জানান, গত ৯ জানুয়ারি রাতে শরিফুল ইসলাম শ্বশুরবাড়ি চর-বেতকান্দিতে যায়। এরপর মঙ্গলবার থেকেই শরিফুল নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর গত বৃহস্পতিবার সকালে করতোয়া নদীর শিবরামপুর ঘাটের পাড়ে শরিফুলের রক্তমাখা জামা কাপড় খুঁজে পায় এলাকাবাসী। এদিনই শরীফুলের মা সূর্যবানু থানায় ছেলে নিখোঁজের ডায়েরি করেন। এরপর শনিবার সকালে করতোয়া নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শরিফুলের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান।
এ দিকে মৃত শরীফুলের মা সূর্যবানু অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দায়ের করলে মামলার তদন্তে নিহত শরীফুলের স্ত্রী ফারজানাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায়, দেড়-দুই মাস আগে শরিফুলের সঙ্গে ফারজানার বিয়ে হয়। শরীফুলের সঙ্গে সংসার করার সময় ফারজানা বুঝতে পারেন তার স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম। এ জন্য তার স্বামীকে চিকিৎসা করাতে বললেও চিকিৎসা করেনি। পরে ফারজানা ৮ জানুয়ারি বাবার বাড়ি চলে যায়। শরিফুলের অক্ষমতার বিষয়টি ফারজানা তার বাবা-মাকে জানায় এবং তাকে ডিভোর্স দিতে চাইলে বাবা-মা অসম্মতি জানায়।
এদিকে ৯ জানুয়ারি রাতে শরিফুল শ্বশুরবাড়িতে গেলে এ দিন গভীর রাতে ফারজানা তার স্বামী শরিফুলকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বলে, ‘তোমার অক্ষমতার সমস্যা দূর হবে, গভীর রাতে নদীর স্রোতের পানি আনতে হবে। সেই পানি মধু দিয়ে খেলে অসুখ সেরে যাবে।’ তখন তাকে উলঙ্গ হয়ে হাত-পা বেঁধে নামতে বলে। শরীফুল ফারজানার কথায় বিশ্বাস করে রাজি হয়। এরপর ফারজানা স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে নদীর পাড়ে গিয়ে তার হাত-পা বেঁধে পানিতে নামতে বলে। শরিফুল হাঁটু সমান পানিতে নামলে ফারজানা তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর ফারজানা শরীফুলের মৃত্যু নিশ্চিত করে বাড়িতে চলে যান।
থানা পুলিশ আরও জানায়, ফারজানা পুলিশের কাছে এবং বিজ্ঞ আদালতের কাছে হ'ত্যাকাণ্ডের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে আদালত ফারজানাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
🤲🕋😭
জালিম মহিলা ছি ছি