IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
ধনী-গরিব সব শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে রমজান মাসজুড়ে ১০ টাকা লিটার করে দুই মেট্রিক টন দুধ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গরুর খামার মালিক এরশাদ উদ্দিন। এমন ঘোষণায় দরিদ্র ও নিম্নআয়ের রোজাদার নারী-পুরুষ বেজায় খুশি। সংযমের মাসে খাদ্যদ্রব্য মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করতে এমন দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ খামার মালিকের।
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সিয়াম সাধনার পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে থেকেই আমাদের দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়েও তখন বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। অথচ এ আত্মসংযমের পবিত্র রমজান মাসটিতে পৃথিবীর মুসলিম দেশে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধ্যানুযায়ী কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনেন ব্যবসায়ীরা।
আমাদের দেশের এমন অপ্রিয় বাস্তবতাকে নিয়ে নানা মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং অসন্তুষ্টি থাকলেও নীতি-নৈতিকতার উন্নতি হয়নি মুনাফাখোর এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের। রমজান মাসকে সামনে রেখে ৮০ থেকে ১০০ টাকা লিটার দুধ বিক্রির সুযোগ খোঁজেন কিছু ব্যবসায়ী।
এ অবস্থায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ন্যামতপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের অধিবাসী খামার মালিক বিশিষ্ট সমাজকর্মী এরশাদ উদ্দিনের ১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রির ঘোষণা দিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জে সি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান এরশাদ উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, অন্তত রমজান মাসে হালাল রুজির ভাবনা অতি মুনাফার ভাবনা সারা জীবনের জন্য বিদায় নিতে পারে।
এ সময় তিনি বলেন, তিনি হজ পালন করতে গিয়ে দেখেছেন, সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধ্যানুযায়ী কমিয়ে আনার চেষ্টা করেন। এমনকি কিছু কিছু পণ্য বিনামূল্যেও রোজাদারদের মধ্যে বিতরণ করেন; কিন্তু আমাদের দেশের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। রমজান মাসে তো নিম্নআয়ের মানুষের দুধ কেনার সামর্থ্যই থাকে না। আর হজে গিয়ে সেখান থেকেই শিক্ষা নিয়ে তিনি গত দুই বছর ধরে রমজান মাসে এমন নামমাত্র মূল্যে দুধ বিক্রি করে আসছেন। এবার এর পরিমাণও বাড়ানো হচ্ছে।
Masaallah
Jajhak Allahu khairan
হুদাই মিথ্যা কথা বলছেন কেন