পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দেড়শ ভরি স্বর্ণসহ আড়াই লাখ টাকা লুট
ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করে দেড়শ ভরি স্বর্ণ ও আড়াই লাখ টাকা লুট করে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হাত-পা বাঁধা ফেলে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ-সাহরাইল সড়কের সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের চঙ্গপাড়া এলাকা থেকে আহত অবস্থায় কৃষ্ণ সাহা (৫৫) নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
কৃষ্ণ সাহা ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের আগলার টিকিটপুর এলাকার বিজয় সাহার ছেলে। তিনি আগলার টিকিটপুর বাজারে স্বর্ণের ব্যবসা করেন। ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ এলাকা থেকে অপহরণ করে সিংগাইরে ফেলে রাখা হয়।
সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইরমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কৃষ্ণ সাহার বরাত দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রোববার সকালে নগদ আড়াই লাখ টাকা, দেড়শ ভরি স্বর্ণ ও আড়াইশ ভরি রোপা নিয়ে রিকশা যোগে দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন কৃষ্ণ সাহা। পথিমধ্যে দোকানে পৌঁছানোর আগেই একটি প্রাইভেটকার তাকে বহনকারী রিকশা গতিরোধ করে।
প্রাইভেটকারের আরোহীরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এমন কথা বলে ভেতর থাকা ৭-৮ জন ব্যক্তি কৃষ্ণ সাহাকে ভেতরে তুলে হাত হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মুখ ও পা বেধে ফেলে। এরপর তাকে গাড়িতে করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে নবাবগঞ্জের পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইরে সায়েস্তা ইউনিয়নের চঙ্গপাড়া চকে তাকে ফেলে চলে যায় পুলিশ পরিচয়ের দুর্বৃত্তরা।
সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইরমান বলেন, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে আহত অবস্থায় কৃষ্ণ সাহাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ীর পা বাঁধাসহ মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও তিনি জানান।
এদিকে আহত কৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সঙ্গে ঘটনার ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছে। বর্তমানে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী আহত অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসা শেষে ফিরে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলেও ওসি জানান।
awesome)
