ভিক্ষার লাখ টাকা রোদে শুকাচ্ছেন বৃদ্ধা!

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

মন্দিরে ভিক্ষা করে খাবার জোগাড় করেন বৃদ্ধা। মাঝে মধ্যে মন্দিরে কাজের বিনিময়ে মেলে কিছু বাড়তি রুপি। এভাবেই চলছিল তার জীবন। তবে আচমকা একদিন বাড়ির উঠানে অসংখ্য ভেজা রুপির নোট রোদে শুকাতে দিয়ে স্থানীয়দের ন’জরে আসেন তিনি। এতো রুপি দেখে এলাকায় আলোচনা সৃষ্টি হলে ছুটে আসে পুলিশ।

ওই বৃদ্ধা ভারতের কেরালার কোট্টায়ামের বাসিন্দা। স্থানীয়রা তাকে তোতা বুড়ি বলে ডাকেন। বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির পাশের মন্দিরে ভিক্ষা করেন। মন্দিরে কাজ করে কিছু রুপি বা খাবার পান। কিন্তু লক্ষাধিক রুপি রোদে শুকাতে দিয়ে সবার চোখ ছানাবড়া করেছেন তিনি। এখন গ্রামের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি ওই ভিক্ষুক বৃদ্ধা।

জানা গেছে, বিপুল রুপি শুকানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তদ’ন্তে আসে পুলিশ। একজন ভিক্ষুকের কাছে এতো রুপি দেখে পুলিশ কর্মকর্তারাও হতবাক। পরে তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসে।

ওই বৃদ্ধা জানান, ভাঙা বাড়িতে বৃষ্টির পানি ঢুকায় ঘর পরিষ্কার করছিলেন বৃদ্ধা। তখন ঘর থেকে একটি কাপড়ের পুটলি বের করে আনেন। পুটলিতে থাকা ভেজা রুপির নোট রোদে শুকাতে দেন। ২৫ বছর ধরে ওই পুটলিতে টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। এমনকি কাজের বিনিময়ে পাওয়া রুপিও তিনি জমাতেন।

পুলিশ জানায়, বৃদ্ধার শুকাতে দেয়া রুপি গোনা শুরু হয়। এর মধ্যে দেশের পুরনো নোট মেলে, যেগুলো অনেক আগে সরকার বাতিল করেছে। গুনে ৩২ হাজার বাতিল রুপি পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৫০০ ও ১০০০ হাজার রুপির নোট রয়েছে। বাকি এক লাখ ১০ হাজার সচল রুপি পাওয়া গেছে।

খেয়ে না খেয়ে সঞ্চয় করেছেন ভিক্ষুক বৃদ্ধা। তিনি নিজেও এতো রুপি জমা করেছেন বলে ভাবেননি। বৃদ্ধা গত ২৫ বছর ধরে শুধুই রুপি জমিয়েছেন। কখনো গুনেও দেখেননি কত জমল!

অবশেষে সেই বৃদ্ধার নামে ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। বৃদ্ধার এক লাখ দশ হাজার রুপি সেখানে জমা করা হয়েছে। বৃদ্ধা জানিয়েছেন, ২৫ বছর ধরে তিনি অনেক কষ্ট করেছেন। তবে সঞ্চয়ের অভ্যাস ত্যাগ করেননি। রোজ একটু একটু করে সঞ্চয় করেছেন। কোনোদিন তিনি কম খেয়েছেন। কিন্তু রুপি ঠিকই জমিয়েছেন।

Check Also

বিএসএফ ২ জন জেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছে

শুক্রবার ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী দুই জেলেকে চব্বিশ ঘন্টা পরে ফিরিয়েছিল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *