সাকার বাসভবনের ফটকে আবারও লেখা হল ‘রাজাকার বাড়ি’

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

এর আগে নগরীর গুডস হিলে ‘রাজাকার হিল’ সাইনবোর্ড টাঙানোর পর তা খুলে ফেলা হয়েছিল।
নগরীতে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাসভবনের ফটকে আবারও ‘রাজাকার বাড়ি’ লিখে দেশের সব যুদ্ধাপরাধীদের বাড়ির সামনে ‘রাজাকার বাড়ি’ লেখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার চট্টগ্রাম মহানগরীর গণি বেকারি মোড় এলাকায় গুড’স হিলে যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদেরের পৈত্রিক বাড়ির সামনের ফটকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ডের এক কর্মসূচি থেকে আবার এমনটি লেখা হয়।

এর আগে ২৮ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ডের এক কর্মসূচি থেকে ওই বাড়ির ফটকে ‘রাজাকার বাড়ি’ লেখা হয়েছিল। পরে ওই রাতেই কে বা কারা সেটি মুছে ফেলে এবং সেখানে টাঙানো ‘রাজাকার হিল’ সাইনবোর্ডটি খুলে ফেলা হয়।

‍বুধবারের কর্মসূচি থেকে আবার বাড়ির ফটকে ‘রাজাকার বাড়ি’ এবং সংলগ্ন সীমানা দেয়ালে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্যাতন কেন্দ্র’ লিখে দেওয়া হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটির এ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা কমান্ডাররা অংশ নেন।

চট্টগ্রামে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পারিবারিক বাসভবন গুডস হিলকে শনিবার ‘রাজকার হিল’ নামকরণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
চট্টগ্রামে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পারিবারিক বাসভবন গুডস হিলকে শনিবার ‘রাজকার হিল’ নামকরণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, শুধু এখানে না দেশের প্রতিটি যুদ্ধাপরাধীর বাড়ির সামনে রাজাকার বাড়ি লেখা হবে। এই লেখা যদি আবার ঢেকে দেওয়া হয়, তাহলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কঠোর কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবে।

কর্মসূচি থেকে ৫ দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হল-

>> যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের রাজনীতি ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।

>> দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের সব সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা।

>> জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সব যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।

>> মুক্তিযুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্যাতনের জন্য রাজাকার-আলবদর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গড়ে তোলা সব ‘টর্চার ক্যাম্পকে’ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা।

>> হুম্মাম কাদেরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেপ্তার করা।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্বাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চাঁদপুর জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, কক্সবাজার জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ ও খাগড়াছড়ি জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রইজ উদ্দিন।

আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহাবুবুল ইসলাম প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহ সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, জেলার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক রাসেল ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব মোহাম্মদ কামরুল হুদা পাভেলের পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, বান্দরবান জেলা কমান্ডার আবুল কাশেম চৌধুরী, ফেনী জেলা কমান্ডার আব্দুল মোতালেব, নোয়াখালী জেলা কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, রাঙ্গামাটি জেলা কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরী।

Check Also

আন্দোলন জমাতেই আগুনের কৌশল কিনা খতিয়ে দেখতে হবে: কাদের

আন্দোলন জমানোর জন্য বিএনপি আগুন দেয়ার কৌশল বেছে নিলো কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *