নৌকার পক্ষে কাজ না করায় পেটানো হল ৪ জনকে

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীক প্রার্থীর নারীসহ চার সমর্থককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

তারা হলেন, উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের উত্তর হলদীবাড়ি এলাকার অনুকুল চন্দ্র রায় (২৭), মহেশ চন্দ্র (৩৫), মহেশ চন্দ্রের মা শ্রীমতি ফুলতি রানী (৫৫) ও বাবলু (৩৫)।

আরও পড়ুন:
নৌকার পক্ষে কাজ না করায় ৪ জনকে পেটানোর অভিযোগনৌকার পক্ষে কাজ না করায় ৪ জনকে পেটানোর অভিযোগ
রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী অনুকুল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে নৌকা প্রার্থীর ভাই নুর মোহাম্মদ বাবলুকে প্রধান আসামি এবং আরো ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের উত্তর হলদীবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্তরা হলেন, নৌকা প্রার্থী নুরল আমিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বাবলু (৫৫), তার ছেলে সিয়াম (২৮), নজরুল ইসলাম (৪৫), মোস্তফা (৩৫), কেশরুজ্জামান বাবু (৪৫), মহিদুল ইসলাম জুয়েল (২৮), মিন্টুসহ (৪০) অনেকে।

চিকিৎসাধীন অনুকুল চন্দ্র জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বর সিন্দুর্না ইউনিয়নের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপনির্বাচনের নৌকা প্রার্থীর নুরল আমিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বাবলু, ছেলে সিয়ামসহ অন্য অভিযুক্তরা রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় অনুকুল চন্দ্রের বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। এ সময় অনুকুল বাড়ির সামনে বের হলে নৌকা প্রার্থীর লোকজন তাকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলামের পক্ষে কাজ করতে নিষেধ করেন ও নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে বলেন। এতে রাজি না হলে তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। অনুকুলের চিৎকার শুনে মহেশ, শ্রীমতি ফুলতি রানী ও বাবুল বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

মহেশ চন্দ্র বলেন, অনুকুলের চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে গেলে নৌকা প্রার্থীর লোকজন আমাদেরও মারধর শুরু করেন। আমরা কাকে সমর্থন করব সেটা একান্ত নিজের ব্যাপার। কাউকে জোর-জুলুম করে কিছু করা যায় না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বাবলু জানান, আমি অনুকুলকে চিনি না। ওনার সঙ্গে আমার কোনো দিন কথাই হয়নি। মারধর করতে যাব কেন? এটা মিথ্যা কথা।

এ বিষয়ে সিন্দুর্না ইউনিয়নের উপনির্বাচনে আনারস প্রতীকের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী অ্যাড. আরিফুল ইসলাম বলেন, নৌকার প্রার্থী নুরল আমিনের ভাই বাবলু ও সিয়ামসহ কয়েকজন আমার লোকজনকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে বলে। তারা রাজি না হওয়ায় তাদের বেধড়ক পেটানো হয়। তারা থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে নৌকা প্রার্থী নুরল আমিনের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি কেটে দেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আল আকসা বলেন, আহত চারজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, কেউ মারধরের স্বীকার হলে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলে তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন। যদি নির্বাচনী আচরণ-বিধি লঙ্ঘন করে থাকে তাহলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

Check Also

আন্দোলন জমাতেই আগুনের কৌশল কিনা খতিয়ে দেখতে হবে: কাদের

আন্দোলন জমানোর জন্য বিএনপি আগুন দেয়ার কৌশল বেছে নিলো কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *