হত্যার উদ্দেশ্যে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদকের গাড়ি ভাংচুর

ভাইদের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় প্রাণভয়ে মসজিদে আশ্রয় নিলেও তার গাড়ি ভেঙে দিয়েছে হামলাকারীরা। এতে আহত হয় তার গাড়িচালক রাকিব মিয়া। এর আগে ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করতে ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু এমপিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়াপাড়া এলাকার এ ঘটনায় শনিবার রাতে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার কেন্দুয়ারটেক জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে ইসলামি ওয়াজ মাহফিল চলছিল। ওই মাহফিলে তাকে উদ্বোধক হিসেবে অতিথি করা হয়। সেদিন রাত ৮টার দিকে মাহফিলে প্রবেশপথে কাঞ্চন পৌর এলাকার ইমানউদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল কলি, নুর হোসেন ওরফে নুরা, গোলাম রসুলের ছেলে রাহাদ, শুক্কুর আলীর ছেলে আব্দুল মতিন, আব্দুল লতিফের ছেলে মতিউর, মোজাম্মেলের ছেলে শাহীন ওরফে লোহা শাহীন, নুর হোসেনের ছেলে রাতুল, হিরনের ছেলে সাজু, আলমের ছেলে মঞ্জু, গোলজারের ছেলে আলমগীর, গিয়াসউদ্দিনের ছেলে আনোয়ার, ইব্রাহিমের ছেলে জিসানসহ অজ্ঞাত লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার গাড়ি ভাংচুর করে।

এ সময় চালক রাকিবকে মারধর করে গাড়িতে থাকা লোকজনের ওপর হামলা করে। পরে মুসল্লিরা এগিয়ে এলে নুর হোসেন তার হাতে থাকা অবৈধ পিস্তল দিয়ে প্রায় ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে।

এদিকে সাইফুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় রূপগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোসহ তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় নেতারা।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার কথা শুনে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।