বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
প্রায় এগার মাস পর পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়েছে। এ কমিটির সভাপতি রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। আগের কমিটিতেও তিনি সভাপতি ছিলেন। সম্প্রতি ঘোষতি নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছেলেসহ তার ১০ আত্মীয় স্থান পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ৭৫ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা হয়।
কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের পরিবারের কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন।সোমবার রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ফেসবুকে এ কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন।
এতে দেখা গেছে, কমিটিতে জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি আমিনুর রহমান সদস্য হিসেবে আছেন। তিনি রেলমন্ত্রীর চাচাতো ভাই। আরেক চাচাতো ভাই আব্দুল জব্বার সদস্য এবং ছেলে কৌশিক নাহিয়ান নাবিদ সদস্য হয়েছেন। নাবিদ তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের কমিটির একটি পদে আছেন। মন্ত্রীর ভাগনে এ এইচ এম সাইদুর রহমান হাসনাত সদস্য। ছেলের শ্বশুর কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন সদস্য, সম্পর্কে ভাগনি হোসনেয়ারা বেগম মহিলাবিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন।
এ ছাড়া, মন্ত্রীর এপিএস রাশেদ প্রধান সদস্য, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক, ভাতিজা আব্দুস সোবহান লিটন যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আত্মীয় হাবিবুর রহমান পাপ্পু সদস্য হিসেবে আছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের এ কমিটিতে মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনরা স্থান পাওয়ায় নেতাকর্মীদের অনেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ জানিয়েছেন।
নেতাকর্মীরা জানান, ২০২২ সালের ১৮ মার্চ পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে সভাপতি নুরুল ইসলাম সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আনোয়ার সাদাত সম্রাট নির্বাচিত হন। সহসভাপতি হিসেবে মজাহারুল হক প্রধান ও নাঈমুজ্জামান মুক্তার নাম ঘোষণা করা হয়। এর দীর্ঘ ১০ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক আবু বকর ছিদ্দিক জানান, এটা সম্পূর্ণ মনগড়া কমিটি। যারা নিবেদিত এবং ত্যাগ শিকার করে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করছেন তারা পদে নেই। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আত্মীয়করণ করেছেন।
পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজাহারুল হক প্রধান জানান, আমি এখনো কমিটি দেখিনি। আমাকে নিয়েই কমিটি করার কথা ছিল। যদি ত্যাগী নেতারা বাদ যায়, তাহলে খুব দুঃখজনক হবে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।