‘জয় বাংলা’স্লোগান দিয়ে র‌্যাবের হাত থেকে ছিনিয়ে নিল হ'ত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতাকে

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে হ'ত্যার মামলায় প্রধান আসামি একই সংগঠনের বহিষ্কৃত এক নেতা। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) তাকে আটক করে র‌্যাব। তবে কিছুক্ষণ পর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে র‌্যাবের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান অনুসারীরা।

বিকেল পৌনে ৫টায় শহরের বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে মুজিব মঞ্চ থেকে র‌্যাব ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে।

ছিনিয়ে নেয়া ওই আসামি হলেন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ। তিনি বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির হোসেন হ'ত্যা মামলার প্রধান আসামি। প্রকাশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার খবরে সাতমাথাসহ আশপাশের এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

তবে র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান জানান, ‘আমাদের টার্গেট রউফ না। অন্য একটি মামলায় বাবার নামের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা রউফকে পাশে নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে সরিয়ে নিয়ে যায়।’

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বগুড়া ছাত্রলীগের কার্যালয়ের ভাঙচুর চালানো হয় এমন অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন সংগঠনটির নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা। তাদের মিছিলটি শহরের টেম্পল রোড থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুজিব মঞ্চে এসে শেষ হয়। এরপর বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতারা। সেখানে নেতাকর্মী নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফও উপস্থিত হন।

এ সময় র‌্যাব কর্মকর্তারা তাকে ঘিরে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কয়েকজন নেতাকর্মীরা রউফকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আব্দুর রউফের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার নামে কোনো অভিযোগ আছে বলে জানা নেই। র‌্যাব আমাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাকে নিয়ে আসে’।

নেতাকর্মীরা জানান, ২০২১ সালের ১১ মার্চ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আব্দুর রউফ ও তাকবির ইসলামসহ অন্যান্যরা। তারা গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে সেখানে তাকবিরের মোটরসাইকেলের সঙ্গে আব্দুর রউফের সমর্থক জাহিদ হাসানের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুজনে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। ওই সময় সভাপতি তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম তাৎক্ষণিক ঘটনার মীমাংসা করে দেন।

জানা যায়, ওই দিন সন্ধ্যায় তাকবির সহযোগীদের নিয়ে শহরের সাতমাথায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নেন। আব্দুর রউফ কার্যালয়ে আসলে তার ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাকবিরের। বিষয়টি আগেই জানতে পারেন রউফ। তিনি সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে না এসে রাতে তার সহযোগীদের সঙ্গে সাতমাথায় আসেন। তখন মুখোমুখি হন আব্দুর রউফ ও তাকবির। শুরু হয় তাদের বাগ্‌বিতণ্ডা। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। ওই সময় আহত হন অন্তত দুই গ্রুপের নয়জন। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তাকবির।

এ-সংক্রান্ত মামলার সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৬ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ইসলাম খান। এর আগে ১৩ মার্চ তাকবিরের মা শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়ার জহুরুল ইসলাম দুলালের স্ত্রী আফরোজা ইসলাম সদর থানায় সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো আসামি রেখে মামলা করেন।

তাকবিরের মৃত্যুর পর রউফকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।

Check Also

বিএনপি বাজারের বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার পাশে বিএনপি বাজারের বস্তিতে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার …

25 comments

  1. এরাই প্রকৃত জঙ্গি

  2. এটা বগুড়ার ঘটনা। ছাত্রলীগ করলেই সব মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়।

  3. জয় বাংলা

  4. জয় বাংলা,,,জয় বঙ্গবন্ধু,,,,, জয় আওয়ামী লীগ

  5. জয় বাংলা জয় হিন্দু জয় বঙ্গবন্ধু জয় ডিজিটাল আওয়ামী লীগের বাংলাদেশ

  6. ওটা কোন ব্যাপার ই না?

  7. বাপের বেটা

  8. পুলিশলীগ তো অনেক আগেই ভোঁতা হয়ে গেছে ছাত্রলীগের কাছে,
    এবার রেবলীগও কি ভোঁতা হয়ে গেল ছাত্রলীগের কাছে ।

  9. এখন বলেন না কেন জঙ্গিরা নিয়ে গেছে

  10. যা বলেছে আর কিছু লাগে??এইটা বললে সবই জায়েয

  11. ছিনতাই নয়। পুলিশ এটা একটা নাটক করেছে।

  12. Rab r rab nai rab akon police er qatare

  13. সব সাজানো নাটক,,,,,

  14. জয়বাংলা শ্লোগান দিলে সবকিছুই যায়েজ হয়েযায় তাদের জন্য, কারণ বাংলাদেশে একমাত্র তারাইতো সোনার সন্তান, বাকিরা রোহিঙ্গা?

  15. এরাই হলো দেশের বড় চোর

  16. Wow fantastic 😊

  17. এই সব RAB কর্মকর্তাদের কে চাকরি চুত্ত্ব করা হোক। পরবর্তী এই রকম নিউজ আর কোনো দিনও শুনতে পাইবেন না।

  18. Saydur Rahman Sardar

    এটাই তাদের প্রকৃতি।দেশটাও এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। দখল করেছে

  19. ছিনিয়ে নেয়নাই।গিভ এন্ড টেইক।

  20. আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে পুলিশ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি পরিষ্কার করা কাজ দিবে

  21. সাবাস

  22. জয় বাংলা কইলে সব গুনা মাফ,,,বোদয়,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *