হাড় কাঁপানো শীত আর কতদিন থাকবে, জানালো আবহাওয়া অফিস

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

দেশে হাড় কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে। কুয়াশায় ঘিরে আছে চারপাশ। সূর্যেরও দেখা মিলছে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন কুয়াশা আরও দু-তিনদিন থাকবে। একটানা হয়তো নাও থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দূরত্ব কমায় শীত বাড়ছে।

তাপমাত্রা খুব বেশি নিচে নামেনি। কিন্তু সারাদেশেই এখন তীব্র শীতের অনুভূতি। মূলত কুয়াশা ও মেঘের কারণে রোদ উঠতে না পারায় কমে গেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব‌্যবধান। একইসঙ্গে উত্তর দিক থেকে বয়ে যাওয়া ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত জেঁকে বসেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এ পরিস্থিতির শনিবার (৭ জানুয়ারি) থেকে কিছুটা উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে। আর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়ায় তাপমাত্রা ছিল। কুয়াশা না কমার কারণ- দুটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ না হওয়া বলে জানান ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ।

তিনি বলেন, প্রথমত, পশ্চিমা লঘুচাপের ফলে বৃষ্টি হচ্ছে না। আরব সাগর থেকে আর্দ্রতা বহন করে নিয়ে এসে এ বৃষ্টি হয়। হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে তাতে জলীয় বাষ্প চলে যায় এবং কুয়াশা দূর করতে পারে। এতে রাতের তাপমাত্রা কমে গেলেও দিনের তাপ বাড়ে। দ্বিতীয়ত, ওপরের বাতাসের (জেট উইন্ড) নিম্নগামী হওয়া। সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২ থেকে ১৮ হাজার ফুট ওপর দিয়ে এ হাওয়া বয়ে যায়। ঘণ্টায় এটি ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায়। এটি নিচে নেমে এসে প্রচণ্ড বাতাস সৃষ্টি করলে তার ধাক্কায় জলীয় বাষ্প সরে যায়। কিন্তু সেটিও এখন হচ্ছে না। তাই কুয়াশাও কাটছে না। গতকাল রাজধানীসহ সারাদেশে তীব্র শীত অনুভূত হয়। শীতের কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বের হয়নি। যারা বের হয়েছেন তারাও যথেষ্ট শীত নিরাময় কাপড় পরে বেরিয়েছেন। রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা শেখ আমানুর বলেন, গত দুইদিন ধরেই শীতের তীব্রতা বেশি অনুভব হচ্ছে। আজ আরও বেড়েছে শীত। এছাড়া সূর্যের দেখাও মেলেনি বলে জানান তিনি।

Check Also

বিএনপি বাজারের বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার পাশে বিএনপি বাজারের বস্তিতে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *