বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনে অতিথি মঞ্চে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আসন গ্রহণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।বিধি অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে কোনো সরকারি কর্মকর্তা অতিথি হতে পারবেন না। এ নিয়ে বাঘাইছড়ি থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেনের সমালোচনা করেছেন অনেকে। তবে ওসির দাবি, তিনি প্রটোকলে গিয়েছিলেন, এজন্য মঞ্চের সামনে তাঁকে বসানো হয়েছে।
গত শনিবার বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় চত্বরে উপজেলা যুবলীগের ওই সম্মেলন হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বৃষকেতু চাকমা, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, জেলা যুবলীগ সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল প্রমুখ।
সম্মেলনে আলোচনা শুরুর আগে বাঘাইছড়ি থানার ওসি শাহাদাৎ হোসেনকে অতিথি মঞ্চে আসন গ্রহণের জন্য বলেন উপস্থাপক। এরপরই সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে বসেন ওসি। ওই সময় অন্য অতিথিদের সঙ্গে ওসিকেও উত্তরীও ও অতিথি ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়। মঞ্চে জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজলের পাশের চেয়ারে বসেছিলেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ওসি শাহাদাৎ সাংবাদিকদের বলেন, মঞ্চে থাকা মানেই অতিথি থাকা নয়। অতিথি হিসেবে কোথাও আমার নাম নেই। ওসি হিসেবে আমার একটি প্রটোকল ও সম্মান রয়েছে। এজন্য সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তার অতিথি হওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে তিনি ওসির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাঁকে ডেকে মঞ্চের সামনে বসতে দেওয়া হয়েছে।