বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
বগুড়ার ধুনটে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা মিটার চোরচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। মিটার চুরি করে চাঁদা আদায় করছে সংঘবদ্ধ চক্রটি। চাঁদা আদায়ের পর সেই মিটার আবার মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। চুরি করা মিটার ফেরত পেতে তিন থেকে সাত হাজার টাকা দিতে হয় গ্রাহকদের। অনেকে আবার নিয়মিত চাঁদা দিয়ে মিটার রক্ষা করছেন।
একই কৌশলে গত মঙ্গলবার রাতে চালাপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা, আব্দুল লতিফের চালকল ও মাটিকোড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের কারখানা থেকে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে চক্রটি। ক্ষতিগ্রস্ত মিটার মালিকরা বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তৎপরতা না পেয়ে অবশেষে চিরকুটে লেখা চোরের বিকাশ নম্বরে টাকা দিয়ে মিটার ফেরত নেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘মিটার পাবে’ উল্লেখ করে একটি কাগজের চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে চুরি করা মিটারের স্থানে ফেলে রেখে যায় চক্রটি। পরে মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে পাঁচ-সাত হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেওয়া হয়। অভিনব কায়দায় এসব মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। গত এক মাসে বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত আটটি শিল্প মিটার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার চালাপাড়া গ্রামের চালকল মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে থ্রি ফেজের একটি শিল্প মিটার পেতে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আমার চালকল প্রতিষ্ঠান থেকে একটি শিল্প মিটার চুরি হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে চোরচক্রের দেওয়া বিকাশ নম্বরে তিন হাজার টাকা দিয়ে মিটারটি উদ্ধার করেছি।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বুধবার সকালের দিকে দুজন ব্যবসায়ী তাদের মিটার চুরির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু থানা থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই তারা মিটার ফেরত পেয়েছেন বলে জানান। তবে চিরকুটে লেখা মোবাইল নম্বরটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।