বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাথে বিনোদপুরের স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হকের প্রতীকী জানাজার আয়োজন করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে কফিন বক্সকে প্রক্টর প্রতীকী সাজিয়ে জানাজার নামাজ পড়েন তারা। এসময় বিভিন্ন অভিযোগ টেনে মোনাজাতও করেন শিক্ষার্থীরা। জানাজা-দোয়া শেষে প্রতীকী কফিন বক্স আগুন দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
রাবি প্রক্টরের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও ঘটনায় উপস্থিত না থাকার অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর। ঘটনার শুরু থেকে প্রক্টর আসাবুল হককে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। তবে জানা গেছে, তিনি গতকাল রাজশাহীর বাইরে ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে কফিনের বাক্স এনে তাতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মারা গেছে’ লিখেন এবং প্রক্টরের জানাজার জন্য প্রতীকী লাশ বানিয়ে জানাজা পড়েন। প্রতীকী জানাজার নামাজ শেষে হাত তুলে মোনাজাতও করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কটিতে কোনো যান চলাচল করছে না। রাবির মেইন গেটের দুইদিকে গাছের বড় বড় অংশ ফেলে রাখা হয়েছে, অন্যদিকে জ্বলছে আগুন।
দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মহাসড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল বিনোদপুরের স্থানীয়রা ও পুলিশের বর্বরোচিত হামলার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার কতো অধপতন। একজন জীবিত শিক্ষকের জানাজা পড়ছে। এদের উচ্চশিক্ষা দেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা দিয়ে??
একজন জীবিত লোকের জানাজা পড়া যাবে না এবং এটি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেননা এধরণের কর্মকান্ড করার অর্থ জীবন নাশের প্রচ্ছন্ন হুমকি।