IPL ের সকল খেলা লাইভ দেখু'ন এই লিংকে rtnbd.net/live
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্বামী বেঁচে থেকেও বিধবা ভাতার টাকা পাচ্ছেন অর্ধশত নারী। উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য অলিউর রহমান এবং সাবেক মহিলা সদস্য সাহেলা বেগমের বিরুদ্ধে ঘুসের বিনিময়ে নারীদের স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও বিধবা ভাতার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সেখানে গিলে জালিয়াতির প্রমাণও পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এ অভিযোগের সত্যতা পায়। দুদকের অভিযান পরিচালনাকারী টিম উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাসের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে তার বক্তব্য রেকর্ড করে। পরে সরেজমিনে গিয়েও সত্যতা পায় দুদক।
ওজেদুন নামে এক সুবিধাভোগী বলেন, আমার স্বামী বেঁচে আছে। আমি বিধবা ভাতার টাকা পাই। এটা করা ঠিক হয়নি। কেন নিজ হাতে আমার স্বামীকে মেরে ফেলব?
তবে কিছুদিন আগে এনজিওর টাকা নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পলাতক আছেন অলিউর রহমান। আর সাহেলা বেগমের মোবাইলে কল দেওয়া হলে একজন ফোন রিসিভ করে ‘আম্মা বাড়িতে নেই’ বলে কল কেটে দেওয়া হয়।
মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান বলেন, আমি চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব পেয়েছি। আমার সময়ে এমন কোনো অনিয়ম হয়নি। আগের ইউপি সদস্যরা এমন কাজ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস বলেন, স্বামী বেঁচে থাকতে যারা বিধবা ভাতার টাকা পাচ্ছে এমন কয়েকজনের কার্ড ফেরত নেওয়া হয়েছে। বাকি সব বইও সংগ্রহ করেছি, যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা এসব অবৈধ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।