সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করলেন ছেলে

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

রাজশাহী নগরীতে মাকে আত্মহ'ত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছেলে। মামলার আসামি নুরুল ইসলাম একজন সাবেক অতিরিক্ত এসপি।

ছেলের এজাহার পেয়ে আরএমপির চন্দ্রিমা থানা পুলিশ শনিবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করেন। আরএমপির চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান হোসেন সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী নাফিজ ইসলাম বুয়েটের কম্পিউটার বিভাগের ছাত্র। গত ৩০ মে রাজশাহীর চন্দ্রিমা এলাকার ৪নং সড়কের একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহ'ত্যা করেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা আক্তার (৫৭)।

শুরু থেকেই ছেলে অভিযোগ করে আসছিলেন যে তার বাবার নির্যাতনের কারণেই তার মা আত্মহ'ত্যা করেছেন। ঘটনার দিন ভবনের লোকজন নাজমা আক্তারের মরদেহ নামান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠান। সম্প্রতি আসা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে নাজমা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহ'ত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হলেও শরীরে আঘাতের চিহ্নের কথাও বলা হয়।

জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত এসপি নুরুল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার নবাবজায়গীর গ্রামে। অন্যদিকে রংপুরে নাজমা আক্তারের পৈতৃক নিবাস। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার ৪নং সড়কের চারতলা একটি বাড়ি আছে নুরুল ইসলামের। ঘটনার কিছুদিন আগে তিনি বাড়িটি স্ত্রী নাজমা আক্তারের নামে লিখে দেন। তবে নাজমা আক্তার স্বামী নুরুল ইসলামকে না জানিয়ে বাড়িটি তার ছেলে ও মেয়ের নামে হস্তান্তর করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে উঠে। ঘটনার দিন নুরুল ইসলাম স্ত্রী নাজমা আক্তারকে মারধর করেন বলে অভিযোগে জানা যায়। এরপরই নাজমা আক্তার তিনতলার একটি ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহ'ত্যা করেন।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চন্দ্রিমা থানার এসআই আশেকুল ইসলাম জানান, তিনি দায়িত্বভার পাওয়ার পর মামলাটির তদন্ত শুরু করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন।

Check Also

এরদোগানবিরোধী প্রচারণায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইকোনোমিস্ট

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ১০ দিন আগে প্রকাশিত ব্রিটিশ সাপ্তাহিক পত্রিকা ইকোনোমিস্ট কভার পেজসহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *