গাইবান্ধা ভোটের শুরুটা সুন্দর, শেষটা চমৎকার: সিইসি

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

আসনে ভোট হলো দুই বার। প্রথমবারে ১২ অক্টোবর এবং দ্বিতীয়বার ৪ জানুয়ারি। প্রথমবারের ভোট নিয়ে ত্যাক্ত-বিরক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেই ভোট স্থগিতের পর আবার ভোটে মুগ্ধ তিনি।
১২ অক্টোবরের মতো বৃহস্পতিবারের ভোটও ঢাকা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এবার আসেনি অনিয়মের কোনো অভিযোগ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও বলেছে ভোট সুষ্ঠু।

বিকাল সাড়ে চারটার পর মুখ খুললেন সিইসি। বলেন, ভোটে মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। ভোট নিয়ে সার্বিক মূল্যায়নে বললেন, ‘ভোটের শুরুটা সুন্দর, শেষটা চমৎকার।’

সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয় যা চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নেয়া হয় এ ভোট।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

আসনটিতে ১২ অক্টোবর উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রথমে গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ভরতখালী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র এবং সাঘাটা উপজেলার রামনগর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে দফায় দফায় ৫১টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে ভোট শেষের দেড় ঘণ্টা আগেই এ ভোট বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে কমিশন।
সিইসি বলেন, ‘গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের শুরুটাও সুন্দর ছিল, শেষটাও চমৎকার ছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেদিক থেকে নির্বাচনটা সফল হয়েছে। গড়ে ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে কোনো ধীরগতি ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, ‘সে রকম কোনো অভিযোগও ছিল না।’
ভোটে সিসি ক্যামেরা নতুন সংযোজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি অনেক তীক্ষ্ণ, সুক্ষ্ম ও কার্যকর হচ্ছে। প্রার্থীরাও গুরুত্ব দিচ্ছেন। কেন্দ্রের ভেতরে অনিয়ম হলে তারা সচেতন আছে। ইলেকটোরাল গভার্নেন্স এই জিনিসটা ঘটেছে।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘অসন্তুষ্ট হতাম যদি কেউ বলত ভোট দিতে যেতে বাধা দিচ্ছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে ভোটার কম হয়েছে বলে মনে হয়েছে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব কি করব না সে সিদ্ধান্ত এখনে নিইনি।’

সিইসি বলেন, ‘মাঠে যে প্রশাসন আছে, পুলিশ প্রশাসন দায়িত্বে থাকবে, তাদের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। ভোটে অত্যন্ত নিরপেক্ষ থেকে যে পুলিশ, প্রশাসন ও আমাদের কর্মকর্তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন আজকেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গত ১২ অক্টোবর কিন্তু কেন্দ্রের বাইরে কিন্তু গণ্ডগোল হয়নি। সেজন্য আমরা তাদের দায়ী করতে পারিনি।’
সিইসি বলেন, ‘যে অভিজ্ঞতা অর্জন করছি সে আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। জাতীয় নির্বাচনে সেটা আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করি।’

১২ অক্টোবর অনিয়মের কারণে যাদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তা কার্যকর হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট পক্ষে থেকে এখনো কোনো উত্তর পাইনি। তারা সিদ্ধান্ত কার্যকর করে এক মাসের মধ্যে আমাদের জানাবে। তবে চিঠি পেতেই যদি এক মাস লেগে যায়, তাহলে দেরি হবে।’

Check Also

আমি কি দুর্নীতি করেছি, আপনারা বলেন: পাপন

‘বিএনপি এখনো শুধু মিথ্যাচার করে চলেছে। আপনাদের বিবেককে প্রশ্ন করেন দেশে কি দুর্নীতি হয়েছে? ভৈরব, …