৭ হাজার বন্দিকে মুক্তি, মুসলিম বিদ্বেষী নেতাকে সম্মাননা দিলো মিয়ানমার

IPL ের সকল খেলা  লাইভ দেখু'ন এই লিংকে  rtnbd.net/live

মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রচারে ভূমিকার জন্য একসময় ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসের মুখ’ আখ্যায়িত এক বৌদ্ধ ধর্মগুরুকে বুধবার সম্মাননা দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। পাশাপাশি সাধারণ ক্ষমার অধীনে মিয়ানমারের জান্তা ৭ হাজার ১২ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে। তবে এরমধ্যে রাজনৈতিক বন্দী থাকবে কিনা তা জানা যায়নি।

বুধবার একজন সরকারী মুখপাত্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি। মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগে মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সন্ন্যাসী উইরাথু ‘মিয়ানমার ইউনিয়নের কল্যাণের জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।’ এর প্রতিদান হিসেবে তাকে সম্মানসূচক ‘থিরি প্যানচি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। দেশটির সামরিক শাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইং বুধবার উইরাথুর হাতে সম্মাননা তুলে দিয়েছেন।

উইরাথু দীর্ঘদিন ধরে তার অতি জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামবিরোধী বক্তব্যের জন্য পরিচিত। বিশেষ করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে তিনি প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখতেন। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য ২০১৩ সালে ‘দ্য ফেস অব বুদ্ধিস্ট টেরর’ শিরোনামে তাকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো উইরাথুকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বাড়াতে সাহায্য করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল তার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উইথারু।

এমআরটিভি বলেছে, সর্বশেষ সাধারণ ক্ষমায় হ'ত্যা ও ধ'র্ষণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া বা বিস্ফোরক, বেআইনি মেলামেশা, অস্ত্র, মাদক, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে দণ্ডিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। এছাড়াও কোন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

এদিকে রাজধানী নেপিদোতে বুধবারের স্বাধীনতা দিবসের একটি কুচকাওয়াজে বক্তৃতায় সামরিক শাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইং মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন এবং চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস এবং বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। মিন অং হ্লাইং বলেন, আমরা চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, লাওস এবং বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমরা সীমান্তে স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করব।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির বেসামরিক সরকার পতনের পর থেকে মিয়ানমার বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর মতে, ভিন্নমত দূর করার জন্য সামরিক জান্তার অভিযানের অংশ হিসেবে প্রায় ২ হাজার ২৮০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং ১১ হাজার ৬৩৭ জন এখনও আটক রয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা।
 

Check Also

সোনার বাংলা গড়তে কূটনীতিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’ গড়তে দেশের কূটনীতিকদের আগামী দিনগুলোতে …